হাত না মিলিয়ে লিভারপুল কিংবদন্তির ওপর ‘প্রতিশোধ’ রোনালদোর
ছাড়তে চান ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, কিন্তু মিলছে না নতুন ঠিকানা। এদিকে আবার প্রতিদিনই নাকি তাঁকে ঘিরে ছড়ানো হচ্ছে ‘মিথ্যা সংবাদ’। এমন বেগতিক সময়ে মাঠের ফুটবলে যে কিছু করে দেখাবেন, সে সুযোগও মিলছে কোথায়!
ওল্ড ট্রাফোর্ডে লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যাচ, আর এমন ম্যাচেই কিনা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জায়গা বেঞ্চে!
মনমেজাজ ভালো থাকারই কথা নয় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। আর এমন সময়ে যদি সামনে এসে পড়েন কোনো কট্টর সমালোচক? ‘প্রতিশোধ’ নেওয়ার সুযোগটা হাতছাড়া করেননি ৩৭ বছর বয়সী পর্তুগিজ তারকা। স্রেফ উপেক্ষা করে গেলেন। পাশাপাশি দাঁড়ানো ছিলেন তিনজন। ডানের জনের সঙ্গে হাত মেলালেন, বাঁ পাশের জনের সঙ্গেও হাত মেলালেন, কিন্তু মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা অপছন্দের মানুষটির দিকে ঠিকমতো তাকালেনও না!
ঘটনাটা সোমবার রাতের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-লিভারপুল ম্যাচ শুরুর আগে। ক্লাব অধিনায়ক হ্যারি ম্যাগুয়ারের মতো রোনালদোকেও শুরুর একাদশে দলে রাখেননি ইউনাইটেড কোচ এরিক টেন হাগ। বেঞ্চে বসার আগে মাঠে গা গরম করছিলেন খেলোয়াড়েরা। তখন মাঠের একপাশে লাইভ চলছিল স্কাই স্পোর্টসের। উপস্থাপক ডেভিড জোনসের সঙ্গে তিন অতিথি—ম্যানইউর সাবেক ডিফেন্ডার গ্যারি নেভিল ও সাবেক অধিনায়ক রয় কিন এবং লিভারপুলের সাবেক ডিফেন্ডার জেমি ক্যারাঘার।
গা গরম করার সময় সেখানে অপ্রত্যাশিতভাবে উপস্থিত হন রোনালদো। পেছন থেকে এসে প্রথমে হাত মেলান সাবেক সতীর্থ নেভিলের সঙ্গে। পাশেই ছিলেন ক্যারাঘার, তিনি ঘুরে দাঁড়িয়ে মাইক্রোফোন এগিয়ে দিলে এড়িয়ে যান রোনালদো, এমনকি হাতও মেলানোর চেষ্টা করেননি। তবে ক্যারাঘারের অপর পাশে দাঁড়ানো কিনের কাছে গিয়ে ঠিকই হাত মিলিয়ে কথা বলেন।
ইউনাইটেডে রোনালদোর সঙ্গে খেলেছেন সাবেক মিডফিল্ডার কিন। রোনালদোকে তিনি জিজ্ঞেস করেন, ‘তুমি তো একাদশে নেই? ফিরে যেতে যেতে রোনালদো বলেন ‘আমি কী করতে পারি?’ কিনের উত্তর, ‘দলে জায়গা করে নাও।’
পাশাপাশি দাঁড়ানো তিন সাবেক ফুটবলারের মধ্যে ক্যারাঘারের সঙ্গে হাত না মেলানো যে স্পষ্টতই উপেক্ষা, সেটি লিভারপুল কিংবদন্তির চেহারাতেই ফুটে উঠেছে। উপস্থাপক জোনস তখন হাসতে হাসতে বলেন, ‘আসল মানুষটা এখানে দাঁড়িয়েও রোনালদোকে কথা বলার জন্য থামাতে পারলেন না।’ ক্যারাঘার তখন অকপটে মন্তব্য করেন, ‘আমি পুরো হতভম্ব হয়ে গেছি।’
ক্যারাঘারকে প্রায়ই রোনালদোর সমালোচনা করতে দেখা যায়। সাবেক লিভারপুল তারকা একাধিকবার বলেছেন, রোনালদো চলে যেতে চাইলে ইউনাইটেড কোচ যেন তাঁকে না আটকান।
এদিন স্কাই স্পোর্টসের অনুষ্ঠানে তিনি এমনও মন্তব্য করেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রোনালদো অন্য কোথাও চলে যাচ্ছে।