সাগরিকা বললেন, বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার পর মা–বাবার ভুল ভেঙেছে
সংবাদ সম্মেলনে লাজুক মোসাম্মাৎ সাগরিকাকে দেখে বোঝার উপায় নেই, কিছুক্ষণ আগেই মাঠে নেপাল দলকে কতটা ব্যতিব্যস্ত রেখেছিলেন! সাফ অনূর্ধ্ব–১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আজ সাগরিকার জোড়া গোলে নেপালের বিপক্ষে ৩–১ গোলে জিতেছে বাংলাদেশ। জোড়া গোলের পরও আক্ষেপ আছে, সেটি সাগরিকার হ্যাটট্রিক না হওয়ায়। তিনটি গোল দেশের নারী ফুটবলের এই নতুন প্রতিভা আজ করতেই পারতেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নগুলো সম্ভবত বেশ কঠিন মনে হচ্ছিল সাগরিকার। কোচ সাইফুল বারী তাঁকে সাহায্য করছিলেন। প্রশ্ন শুনে, না বুঝলেই লাজুক ভঙ্গিতে মাথা নিচু করে ফেলছিলেন। হ্যাটট্রিকের আক্ষেপ তাঁরও, ‘আজ কয়েকটি গোল মিস করেছি। এই ভুলগুলো শুধরে নিতে চাই ভবিষ্যতে।’ তবে তাঁর তৃপ্তির জায়গাটা দল জিততে পারায়, ‘দল জেতাতে পেরে ভালো লাগছে। হ্যাটট্রিক পেলে অবশ্যই ভালো লাগত।’
আজ নেপালের বিপক্ষে মাঠে যে দুরন্ত সাগরিকাকে দেখা গেছে, তাঁকে হয়তো দেশের ফুটবলে না–ও পাওয়া যেতে পারত। তাঁর মা–বাবা একেবারেই নাকি রাজি ছিলেন না মেয়ের ফুটবল খেলার ব্যাপারে।
সাগরিকা এ নিয়ে বলেছেন, ‘আমার মা–বাবা চাইতেন না আমি ফুটবল খেলি। তবে আমার ফুটবলার হওয়ার পেছনে খালার অবদান সবচেয়ে বেশি। তিনি মাকে বলেছিলেন, “মেয়ে আমাকে দাও, সে ফুটবল খেলুক।” বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার পর মা–বাবার ভুল ভেঙেছে। আমি এতেই খুশি।’
অনূর্ধ্ব–১৭ সাফ ফুটবলে সাগরিকা গোল করেছিলেন। এবার জোড়া গোল করলেন অনূর্ধ্ব–১৯ সাফে। যে ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার প্রত্যয় রইল তাঁর কণ্ঠে, সেটি করতে পারলে নতুন প্রজন্মের একজন গোলস্কোরারকে যে মেয়েদের ফুটবল পেতে যাচ্ছে, সেটি বলা যায়।
সানজিদা–সাবিনাদের দলে সাগরিকাকে স্বাগতম।