মিলানের পেনাল্টি ঠেকিয়ে ইতিহাস নাপোলি গোলকিপারের
নাপোলির মাঠে কাল রাতে ম্যাচের ২২ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েছিল এসি মিলান। কিন্তু সেটি কাজে লাগাতে পারেননি অলিভার জিরু। নাপোলির গোলকিপার অ্যালেক্স মেরেত কীভাবে যেন বুঝে গিয়েছিলেন জিরুর শট তাঁর বাঁ দিকে থাকবে। ব্যস, বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পেনাল্টি রুখে দেন মেরেত। তাতেই লেখা হয় নতুন ইতিহাস।
সেই ইতিহাস জানানোর আগে কাল রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগে এই ম্যাচের ফলটা জানিয়ে রাখা ভালো। ফিরতি লেগে ১-১ গোলে ড্র করলেও দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ গোলের জয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে মিলান।
নাপোলি বিদায় নিলেও মিলানের ইতিহাসে একটি পাতায় নিজের নামটা তুলেছেন ইতালিয়ান এই গোলকিপার। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে প্রথম গোলকিপার হিসেবে এসি মিলানের কোনো খেলোয়াড়ের পেনাল্টি ঠেকানোর কীর্তি গড়েন নাপোলির মেরেত।
তথ্যটি জেনে ভ্রকূটির পাশাপাশি প্রশ্নও জাগতে পারে। ঐতিহ্য ও সাফল্য বিচারে মিলান ইউরোপের বড় ক্লাবগুলোর একটি। চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে ৭ বার। যেহেতু এমন সফল ও ঐতিহ্যবাহী দলের কোনো খেলোয়াড়ের নেওয়া পেনাল্টি কেউ প্রথমবারের মতো ঠেকিয়েছেন, তাহলে চ্যাম্পিয়নস লিগে মিলান পেনাল্টি পেয়েছে কতগুলো?
চ্যাম্পিয়নস লিগের পরিসংখ্যান বলছে, ইউরোপের শীর্ষ প্রতিযোগিতায় এখন পর্যন্ত ২১টি পেনাল্টি পেয়েছে মিলান। এর মধ্যে ১৮টি পেনাল্টি থেকে গোল পেলেও ৩টি পেনাল্টি থেকে গোল হয়নি।
সেই তিন পেনাল্টির মধ্যে দুটি একাই মিস করেছেন মিলান কিংবদন্তি আন্দ্রেই শেভচেঙ্কো। ২০০০ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগে পেনাল্টি পেয়ে পোস্টে মেরেছিলেন শেভচেঙ্কো।
এরপর ২০০৬ চ্যাম্পিয়নস লিগেও পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি ইউক্রেন কিংবদন্তি। সেবার বল মারেন পোস্টের ওপর দিয়ে। আর এবার নাপোলির গোলকিপার অ্যালেক্স মেরেত পেনাল্টি থেকে জিরুর শটই ঠেকিয়ে দিয়ে ইতিহাস গড়লেন।