ইউরোতে জমে উঠেছে গ্রুপ ‘ই’–এর লড়াই। নিজেদের প্রথম ম্যাচে বেলজিয়ামকে হারিয়ে চমক দেখানো স্লোভাকিয়া আজ হেরে গেছে ইউক্রেনের কাছে। এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইউক্রেন হেরেছিল রোমানিয়ার কাছে। সেই হারের ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়িয়ে লড়াইয়ে ফিরেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি। স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে শুরুতে ১–০ গোলে পিছিয়ে পড়া ইউক্রেন শেষ পর্যন্ত জিতছে ২–১ গোলে।
ডুসেলডর্ফে এ ম্যাচে ফেবারিট হিসেবেই খেলতে নেমেছিল স্লোভাকিয়া। ম্যাচ জিতলেই শেষ ষোলো নিশ্চিত হতো তাদের। অন্যদিকে ইউক্রেনের জন্য এ ম্যাচ ছিল টিকে থাকার। এ ম্যাচে হারলে ইউরোতে টিকে থাকার সম্ভাবনা প্রায়ই শেষ হয়ে যেত তাদের। এমন লড়াইয়ে শুরু থেকে চাপেও ছিল ইউক্রেন। স্লোভাকিয়ার আক্রমণের মুখে একরকম কোণঠাসা হয়েছিল তারা। ১০ মিনিটে দুবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আসে স্লোভাকিয়ার সামনে।
তবে সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি তারা। গোল না পেলেও ইউক্রেন রক্ষণকে বেশ চাপে রেখেছিল স্লোভাকিয়া। যার ফল তারা শেষ পর্যন্ত পায় ম্যাচের ১৭ মিনিটে। ইভান শরানজের হেডে এগিয়ে যায় স্লোভাকরা। গোল খেয়েই যেন নতুন করে জেগে উঠে ইউক্রেন। স্লোভাক রক্ষণে বেশ কয়েকবার হানাও দেয় তারা। কিন্তু দেখা মিলছিল না কাঙ্ক্ষিত গোলটির। এর মধ্যে পোস্টে বল লেগেও হতাশ হতে হয় ইউক্রেনকে। শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় তারা।
বিরতির পর যেন নতুন এক ইউক্রেনের দেখা মেলে। ম্যাচে ফেরার জন্য রীতিমতো নিজেদের উজাড় করে খেলে তারা। ৫৪ মিনিটে যার ফলও পেয়ে যায় আন্দ্রেই শেভচেঙ্কোর উত্তরসূরিরা। প্রতি আক্রমণ থেকে মাইকোলা শাপারেনকোর দারুণ এক গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় ইউক্রেন। ম্যাচে সমতা আসার পর রোমাঞ্চকর হয়ে ওঠে এই দ্বৈরথ।
দুই পক্ষই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে এ সময়। তবে স্লোভাকিয়াকে স্তব্ধ করে ৮০ মিনিটে পাশার দান উল্টে দেয় ইউক্রেন। রোমান ইয়ারেমচুকের দারুণ এক গোলে ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় তারা। শাপারেনকোর ক্রস থেকে পাওয়া বলকে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিঁখুত ফিনিশিংয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ইয়ারেমচুক। শেষ দিকে চেষ্টা করেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি স্লোভাকিয়া। ২–১ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।