সবচেয়ে বেশি ফাউলের শিকার ইয়ামালকে ঘিরে নতুন শঙ্কা
বয়স এখনো ১৭ বছরের গণ্ডি পেরোয়নি। কিন্তু প্রতিভা কি আর বয়সের বাধা মানে! সেই প্রতিভার জোরেই অল্প বয়সে ফুটবল মঞ্চে নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছেন লামিনে ইয়ামাল। কারও কারও কাছে যিনি এই সময়ের সেরা ফুটবলারও বটে।
সম্প্রতি যেমন ইয়ামালের স্প্যানিশ সতীর্থ আলভারো মোরাতার কাছে বিশ্বসেরা ফুটবলারের নাম জানতে চাওয়া হলে তিনি উত্তর দেন, ‘লামিনে ইয়ামাল’। কেউ কেউ তাঁকে তুলনা করেন লিওনেল মেসি বা ডিয়েগো ম্যারাডোনার সঙ্গেও। এমন ফুটবলারকে নিয়ে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের মনে ভীতি জন্মানোই স্বাভাবিক।
বৈধ উপায়ে থামাতে না পারলে ফাউল করে হলেও চেষ্টা করা হয় থামানোর। ফুটবলের ইতিহাসে শীর্ষ তারকাদের ফাউলের শিকার হওয়ার ঘটনাও নতুন কিছু নয়। ম্যারাডোনা থেকে হালের মেসি–নেইমারসহ অনেককেই বারবার এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে। মেসির সঙ্গে তুলনা করা ইয়ামালই বা বাদ যাবেন কেন!
চলতি মৌসুমের পরিসংখ্যানের দিকে তাকালেও সে তথ্যই পাওয়া যাবে। ক্রীড়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএন জানিয়েছে, এ মৌসুমে জাতীয় দল ও ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগ মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি ফাউলের শিকার হয়েছেন লামিনে ইয়ামাল। সব মিলিয়ে ৩৮টি ফাউলের শিকার হয়েছেন তিনি।
এসব ফাউলে এখন পর্যন্ত বড় চোটে না পড়লেও ইয়ামালকে ঘিরে ঠিকই তৈরি হয়েছে অস্বস্তি। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বিরতিতে স্পেনের নেশনস লিগের দল থেকে ছিটকে গেছেন এই উইঙ্গার। গত শনিবার ডেনমার্কের বিপক্ষে স্পেনের ১–০ গোলে জেতা ম্যাচে চোটে পড়েন ইয়ামাল।
সেদিন ম্যাচ শেষ না করেই মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। এরপর ঝুঁকি এড়াতে সার্বিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচের দলে তাঁকে রাখেনইনি স্পেনের কোচ দে লা ফুয়েন্তে। ইয়ামাল ফিরে আসেন বার্সেলোনায়। এদিকে পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর বার্সেলোনা জানিয়েছে, পেশিতে টান লেগেছে ইয়ামালের।
ধারণা করা হচ্ছে, এ চোটে খুব বেশি সময়ের জন্য বাইরে থাকতে হবে না এ স্প্যানিশ তারকাকে। ইএসপিএন বলছে, লা লিগায় সেভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ইয়ামালের খেলা অনিশ্চিত হলেও চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ম্যাচের আগেই ফিরবেন তিনি।
ফলে ২৬ অক্টোবরের এল ক্লাসিকোতেও তাঁর খেলা নিয়ে খুব একটা অনিশ্চয়তা নেই। এরপরও অবশ্য একটা দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। যদি ইয়ামালের ওপর চলমান ফাউল–ঝড় বন্ধ না হয়, তবে সেটা যেকোনো মুহূর্তে তাঁর জন্য বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে।