দুর্দান্ত মেসিই জয়ে ফেরালেন মায়ামিকে
লিওনেল মেসিকে ছাড়া বরাবরই নড়বরে ইন্টার মায়ামি। এমনকি আগের ম্যাচে মেসি ফিরেও বদলাতে পারেননি মায়ামির ভাগ্য। টানা ৫ ম্যাচে জয়বঞ্চিত থেকে বেশ বিপাকেই ছিল ফ্লোরিডার ক্লাবটি। আজ কানসাস সিটির বিপক্ষে জয় না পেলে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ত তারা। তবে আজ শুরুর একাদশে খেলতে নামা মেসি এ যাত্রায় উদ্ধার করলেন দলটিকে।
দারুণ পারফরম্যান্সে দলকে এনে দিয়েছেন দুর্দান্ত এক জয়। বক্সের বাইরে থেকে ট্রেডমার্ক শটে একটি গোল করার সঙ্গে দৃষ্টিনন্দন এক অ্যাসিস্টও করেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। মেসির জ্বলে ওঠার দিন মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) মায়ামির জয় ৩-২ গোলে।
চোটের কারণে টানা পাঁচ ম্যাচ খেলতে পারেননি মেসি। মন্তেরির বিপক্ষে কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের ম্যাচ দিয়ে ফিরলেও সেদিন পুরোপুরি ছন্দে দেখা যায়নি আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে। তবে আজ ম্যাচের শুরু থেকেই মেসি ছিলেন উজ্জ্বল। কানসাসের মাঠে প্রায় ৭৩ হাজার দর্শকের সামনে শুরুতে পিছিয়ে পড়েছিল মেসির মায়ামি।
৬ মিনিটে এরিক টমি গোল করেন স্বাগতিকদের হয়ে। সমতা ফেরাতে মায়ামিকে অপেক্ষা করতে হয় ১৮ মিনিট পর্যন্ত। বক্সের অনেক বাইরে থেকে দারুণ এক পাসে দিয়েগো গোমেজের গোলটিতে সহায়তা করেছেন মেসি। ৪০ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা। কানসাসের খেলোয়াড়দের দেয়ালকে ফাঁকি দিতে পারলেও বল চলে যায় পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে।
১-১ সমতায় প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মায়ামিকে এগিয়ে দেন মেসিই। ডেভিড রুইজের কাছ থেকে বক্সের বাইরে বল পেয়ে দুর্দান্ত এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন বিশ্বকাপজয়ী এ তারকা। এটি এমএলএসের চলতি মৌসুমে মেসির পঞ্চম গোল। এগিয়ে যাওয়ার আনন্দটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি মায়ামির। ৫৮ মিনিটে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোলে কানসাসকে সমতায় ফেরান টমি।
৭১ মিনিটে অবশ্য কানসাস সমর্থকদের উল্লাস থামিয়ে মায়ামিকে আবার এগিয়ে দেন লুইস সুয়ারেজ। এরপর আর কোনো গোল না হলে স্বস্তির জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে মায়ামি।
এ জয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান ফিরে পেয়েছে মায়ামি। ৯ ম্যাচে মায়ামির পয়েন্ট ১৫। বাংলাদেশ সময় ২১ এপ্রিল ভোরে ঘরের মাঠে মায়ামি নিজেদের পরের ম্যাচ খেলবে ন্যাশভিলের বিপক্ষে।