চ্যাম্পিয়নস লিগের ১০০০০তম গোল রামোসের, প্রথম কার
রামন সানচেজ পিজুয়ান স্টেডিয়ামে গতকাল রাতে একাদশ মাঠে নামিয়েই রেকর্ড গড়ে ফেলে সেভিয়া। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বয়স্ক একাদশ! খেলোয়াড়দের গড় বয়স ছিল ৩২ বছর ১৯ দিন। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে গড়া ইন্টার মিলানের (৩১ বছর ৩৩১ দিন) রেকর্ডটি এখন স্প্যানিশ ক্লাবটির।
তবে পিএসভির কাছে সেভিয়ার ৩-২ গোলে হারের ম্যাচে নতুন এক মাইলফলকও দেখেছে চ্যাম্পিয়নস লিগ। ১০ হাজারতম গোল! সেটা আবার ম্যাচের প্রথম গোল। ইভান রাকিতিচের ক্রস থেকে হেডে চ্যাম্পিয়নস লিগে ১০ হাজারতম গোলটি করেন সেভিয়া ডিফেন্ডার সের্হিও রামোস। এ প্রতিযোগিতায় ২০০৫ সালের ডিসেম্বরে প্রথম গোলটি করেছিলেন স্প্যানিশ তারকা।
বিবিসি জানিয়েছে, চ্যাম্পিয়নস লিগে কোনো খেলোয়াড়ের প্রথম ও সাম্প্রতিকতম গোলের মাঝে এটাই (৬৭৭৩ দিন) সর্বোচ্চ ব্যবধান। গত রাতের গোলে রামোস চ্যাম্পিয়নস লিগে সবচেয়ে বেশি বয়সে গোলের তালিকায় চারেও উঠে এলেন। ৩৫ বছর ২৪৪ দিন বয়সে গোল করলেন। আর ডিফেন্ডার হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগেও সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন রামোস (১৬)। রবার্তো কার্লোস ও জেরার্ড পিকের গোলসংখ্যাও ১৬।
ফুটবলের পরিসংখ্যানবিষয়ক এক্স (টুইটার) অ্যাকাউন্ট ‘অপটা জো’ জানিয়েছে, ইউরোপিয়ান কাপ ১৯৯২ সালে নাম বদলে চ্যাম্পিয়নস লিগ হওয়ার পর ৩১ বছর ৪ দিনের মাথায় ১০ হাজারতম গোলটি দেখল এই প্রতিযোগিতা। ১৯৯২ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম সংস্করণে ২৫ নভেম্বর গ্রুপ পর্বে সিএসকেএ মস্কোর বিপক্ষে এ প্রতিযোগিতার প্রথম গোলটি করেছিলেন ক্লাব ব্রুগার নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড দানিয়েল আমোকাশি।
ফুটবলের পরিসংখ্যানবিষয়ক এক্স অ্যাকাউন্ট ‘মিস্টার চিপ’ জানিয়েছে, চ্যাম্পিয়নস লিগে ছয় হাজারতম গোলটিও করেছিলেন রামোস। ২০১৩ সালের মার্চে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে আত্মঘাতী গোল করেছিলেন, সেটাই চ্যাম্পিয়নস লিগে ছয় হাজারতম গোল।
চ্যাম্পিয়নস লিগ চালুর পর এ প্রতিযোগিতায় ১ হাজারতম গোলটি দেখতে সময় লেগেছে ৬ বছর। ১৯৯৮ সালে বেনফিকার বিপক্ষে ১ হাজারতম গোলটি করেছিলেন পিএসভির রাশিয়ান মিডফিল্ডার দিমিত্রি খোকলভ। এরপর তিন বছরের মাথায় ২ হাজারতম গোলটির দেখা পাইয়ে দিয়েছিলেন সাবেক পর্তুগিজ সেন্টার ব্যাক ফার্নান্দো কুতো। লাৎসিওর হয়ে নঁতের বিপক্ষে গোলটি করেছিলেন। দুই বছর পর ৩ হাজারতম গোল এনে দেন ফ্রান্সের সাবেক স্ট্রাইকার ডেভিড ত্রেজেগে। সেটি ২০০৩ সালে জুভেন্টাসের হয়ে নঁতের বিপক্ষে।
৪ ও ৫ হাজারতম গোল এনে দিয়েছেন একজন ইংরেজ ও ব্রাজিলিয়ান। ২০০৭ সালে ৪ হাজারতম গোলটি করেন লিভারপুলের স্ট্রাইকার পিটার ক্রাউচ। তিন বছর পর বেনফিকার হয়ে ৫ হাজারতম গোল করেন ব্রাজিলের লুইজাও। চ্যাম্পিয়নস লিগে ৭, ৮ ও ৯ হাজারতম গোলটি যথাক্রমে আনহেল দি মারিয়া, এরিক লামেলা ও এমারসনের।