তরুণ খেলোয়াড়দের সবচেয়ে বেশি সুযোগ দিয়েছে লিওঁ–বার্সেলোনা
ফুটবলে প্রতিটি মৌসুমে নতুন নতুন তারকার আবির্ভাব ঘটে। এই তারকাদের সবাই শুরু থেকেই বেশি বেশি খেলার সুযোগ পান না। অনেক খেলোয়াড়কে একটু একটু করে বাজিয়ে দেখে প্রস্তুত করে দলগুলো। মূলত তারুণ্যের সঙ্গে অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে ক্লাবগুলো চায় সাফল্য আনতে।
ইউরোপের বড় ক্লাবগুলোর মধ্যে বার্সেলোনা ও আর্সেনালের মতো দল তরুণদের বেশ সুযোগ দিয়েছে। এ তালিকায় আছে ফ্রান্সের একাডেমিভিত্তিক দল লিওঁ-ও। সব মিলিয়েও তারুণ্যের জয়গানে এগিয়ে ফরাসি ক্লাবগুলোই। লিগ আঁতে অনূর্ধ্ব-২১ বছর বয়সী খেলোয়াড়েরা অন্য লিগগুলোর তুলনায় মাঠে থাকার সুযোগ পেয়েছেন দ্বিগুণের বেশি সময়।
ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোর মধ্যে সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে অনূর্ধ্ব-২১ বছর বয়সী খেলোয়াড়দের সবচেয়ে বেশি সময় দিয়েছে অলিম্পিক লিওঁ এবং বার্সেলোনা। এই দুই ক্লাবের খেলোয়াড়েরা মাঠে ছিলেন যথাক্রমে ১১ হাজার ১৫৩ মিনিট ও ৮ হাজার ৫৫৫ মিনিট।
সবচেয়ে বেশি মিনিট খেলা অ-২১ বছর বয়সী খেলোয়াড়
লিগ হিসেবে সবচেয়ে বেশি তরুণদের সুযোগ দিয়েছে ফ্রান্সের লিগ আঁ। তারা অনূর্ধ্ব-২১ বছর বয়সীদের সুযোগ দিয়েছে ৬৮ হাজার ২১২ মিনিট। বেশ পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় স্থানে আছে লা লিগা। তাঁরা তরুণ খেলোয়াড়দের সুযোগ দিয়েছে ৩৭ হাজার ৮৭৩ মিনিট।
বিভিন্ন লিগে অনূর্ধ্ব-২১ বয়সীদের খেলার সময়
খেলোয়াড় হিসেবে বেশি সুযোগ পেয়েছেন লিওঁর কাস্তেলো লুকেবা। তিনি মাঠে ছিলেন ২ হাজার ৯৮৫ মিনিট। এরপর আছেন আরনাও মার্তিনেজ। জিরোনার এই খেলোয়াড় সুযোগ পেয়েছেন ২ হাজার ৭৩৫ মিনিট। তালিকায় আছেন জুড বেলিংহামের মতো বড় নামও, যিনি মাঠে ছিলেন ২ হাজার ৬৯৩ মিনিট।
অনূর্ধ্ব-২১ বছর বয়সী ফুটবলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোল করা খেলোয়াড় হলেন এলিয়ে ওয়াহি। মঁপেলিয়ের এই ফরাসি ফরোয়ার্ড ২ হাজার ৫৩০ মিনিট মাঠে থেকে করেছেন ১৯ গোল। পরের অবস্থানটি বায়ার্ন মিউনিখের জার্মার তারকা জামাল মুসিয়ালার। ২ হাজার ২১১ মিনিট মাঠে থেকে তিনি গোল করেছেন ১২ গোল। ৩ ও ৪ নম্বরে আছেন সেলতা ভিগোর গাবরি ভেইগা ও আতলান্তার রসমুস হইলুন্ড। তালিকার ৫ নম্বরে আছেন বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়া জুড বেলিংহামও, যিনি ২ হাজার ৬৯৩ মিনিট মাঠে থেকে গোল করেছেন ৮টি।
তবে দল হিসেবে গড় বয়স বিবেচনায় সবচেয়ে কম বয়সী ফুটবলারদের সুযোগ দিয়েছে ভ্যালেন্সিয়া। স্প্যানিশ ক্লাবটি মৌসুমে গড়ে ২৪ বছর ২৭৫ দিন বয়সী দলকে মাঠে নামিয়েছে। তালিকার পরের দুটি অবস্থানে আছে বায়ার লেভারকুসেন ও সাউদাম্পটন। যাদের দলের গড় বয়স ছিল যথাক্রমে ২৫ বছর ১১ দিন ও ২৫ বছর ৪১ দিন।