সালাহ কি আফ্রিকান নেশনস কাপে আর খেলতে পারবেন
মিসর কোচ রুই ভিতোরিয়া কোনো রাখঢাক রাখেননি। মূল কথাটা স্পষ্ট করেই বলেছেন তিনি—মোহাম্মদ সালাহ এবারের আফ্রিকা কাপ অব নেশনস প্রতিযোগিতায় আর খেলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে ‘এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।’
কোনো কিছু বলা আগাম হয়ে যায়।
কারণ? চোট। গতকাল ঘানার বিপক্ষে মিসরের ২-২ গোলে ড্র ম্যাচে চোট পান সালাহ। ম্যাচের ৪৫ মিনিটে দৌড়াতে গিয়ে হঠাৎই বসে পড়েন লিভারপুল তারকা। তাঁর চোখ–মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছিল, চোটে পড়েছেন, চিকিৎসক দলের সাহায্য প্রয়োজন। এরপর তাঁকে তুলে নেন কোচ ভিতোরিয়া। মাঠ ছাড়ার সময় বারবার বাঁ পায়ের হ্যামস্ট্রিং দেখাচ্ছিলেন সালাহ। স্বস্তি নিয়ে যে হাঁটতে পারছেন না, সেটি পরিষ্কার বোঝা গেছে।
নেশনস কাপে মিসরের টানা দ্বিতীয় ড্রয়ের পর দলটির কোচ ভিতোরিয়া সালাহর চোট নিয়ে কথা বলেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে, ‘(সালাহর) সমস্যাটা কী, সেটি এখনো জানা যায়নি। আশা করছি, যেন বড় কিছু না হয়...এখনই কোনো কিছু বলা আগাম হয়ে যায়। সালাহ অসাধারণ খেলোয়াড়। বিশ্বের অন্যতম সেরা। এমন খেলোয়াড় যেন সব সময় আমাদের সঙ্গে থাকে, সেটাই আমরা চাই।’
নেশনস কাপে ঘানার আগে মোজাম্বিকের বিপক্ষেও ড্র করে মিসর। সেদিন পিছিয়ে থাকা মিসর যোগ করা সময়ে সালাহর পেনাল্টি থেকে করা গোলে হার এড়ায়। দ্বিতীয় ম্যাচেও ঘানাই প্রথম এগিয়ে যায়।
ভিতোরিয়া জানিয়েছেন, ঘানার বিপক্ষে প্রথমার্ধে গোল হজমের পর দলের খেলোয়াড়েরা একটু বিমর্ষ ছিলেন। তবে এর সঙ্গে সালাহর চোটের যে কোনো সম্পর্ক নেই, ‘প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে গোল হজমের পর খেলোয়াড়েরা হতাশ হয়ে পড়েছিল...কিন্তু এটাই ফুটবল। বিরতির পর মানসিকতা পাল্টেছে খেলোয়াড়দের। আর সালাহও এর কারণ নয়। ফলটা ভালো হয়নি। দল নিজেদের নিংড়েই খেলেছে।’
টানা দুই ড্রয়ে পরের ধাপে ওঠার পথ কিছুটা হলেও মিসরের জন্য কঠিন হয়ে গেছে। এর সঙ্গে সালাহও যদি মাঠ থেকে ছিটকে যান, পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে উঠবে। ভিতোরিয়া অবশ্য সালাহকে ছাড়াও মিসর নেশনস কাপ জয়ের সামর্থ্য রাখে বলে আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছেন, ‘কঠিন পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়া ছাড়া কেউ শিরোপা জিততে পারে না...আজ আমরা সেটি দেখিয়েছি, বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে।’
মিসর দুটি গোলই করেছে দ্বিতীয়ার্ধে। ঘানার হয়ে দুই অর্ধে একটি করে গোল মোহাম্মদ কুদুসের।
মিসর নেশনস কাপে সবচেয়ে সফল দল। এখন পর্যন্ত জিতেছে সাতবার। তবে সালাহ এখনো গলায় চ্যাম্পিয়নের পদক পরতে পারেননি। দুবার (২০১৭ ও ২০২২) ফাইনালে উঠে হেরেছেন।