আমেরিকান ফুটবল, রাগবি বা ক্রিকেট থেকে শিখতে বলছেন অঁরি
কদিন আগে প্রিমিয়ার লিগে ফুলহামের বিপক্ষে ম্যাচে ৯০ মিনিটে গোল করে জার্সি খুলে উদ্যাপন করেছিলেন টটেনহাম তারকা রিচার্লিসন। গোলের আনন্দে জার্সি খুলে উদ্যাপন নতুন কিছু না। তবে এমন উদ্যাপনের পর সেদিন বিব্রতকর পরিস্থিতিতেই পড়তে হয়েছিল রিচার্লিসনকে।
যে গোলে আনন্দে করতে গিয়ে কার্ড দেখলেন, একটু পর ‘বেরসিক’ ভিএআর সেই গোলটিই কিনা বাতিল করে দিল! ২–১ গোলে টটেনহাম ম্যাচ জিতলেও অফসাইডের ফাঁদে বাতিলের খাতাতেই থেকে যায় ব্রাজিলিয়ান তারকার গোলটি।
সেদিনের সেই গোলের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ হাস্যরসের শিকার হয়েছিলেন রিচার্লিসন। তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা বাকি খেলোয়াড়দের জন্য একটা বার্তাও বটে—নিশ্চিত না হয়ে উদ্যাপন করো না। তবে ভিএআরের এমন বেরসিক হস্তক্ষেপ ফুটবলের আনন্দকে শেষ করে দিচ্ছে বলে মনে করছেন ফরাসি কিংবদন্তি থিয়েরি অঁরি।
আর্সেনালের সাবেক এই তারকা মনে করেন, ভিএআর যথেষ্ট দ্রুতগতিতে কাজ করে না। অন্য যেসব খেলায় এমন প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া হয়, সেগুলো থেকেও শিখতে বলছেন তিনি, ‘ফুটবলে আমরা এখনো অনেক পিছিয়ে আছি। আমাদের অনেক কিছু শিখতে হবে। আমেরিকান ফুটবল, রাগবি, ক্রিকেট কিংবা টেনিস—অন্য যে খেলায় হোক, সেখানে যা ঘটছে সব তাৎক্ষণিক।’
ভিএআর নিয়ে অঁরির অভিযোগের তালিকাটা ঠিক সংক্ষিপ্ত নয়। তিনি বলেছেন, ‘ভিএআরের যে বিষয়টি আমাকে ক্ষুব্ধ করে তা হলো, এটা যথেষ্ট দ্রুতগতির না। এখানে সিদ্ধান্ত দিচ্ছে অন্য কেউ, অন্য কোথাও বসে। কারণ, ভিএআর এখানে কোনো সিদ্ধান্ত দিচ্ছে না। ভিএআর কেবল পরিস্থিতিটাকে মনে করিয়ে দেয়।’
ভিএআরের সিদ্ধান্ত দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে বিরক্ত অঁরি আরও যোগ করে বলেছেন, ‘সেই মানুষটি রেফারিকে ফোন করে বলে যে, সে ভুল করেছে নাকি করেনি। অনেক সময় তারা সাহায্য করে। হ্যাঁ, কখনো করে, আবার কখনো করে না। তবে আমি এটাও বুঝি যে মানুষ ভুল করতেই পারে।’
ভিএআর আসার পর থেকে খেলোয়াড়দের গোল করে উদ্যাপন করবে কি করবে না, তা নিয়েও দ্বিধায় থাকতে দেখা যায়। যা উদ্যাপনের মুহূর্তটিকে নষ্ট করে দিচ্ছে বলে মনে করেন অঁরি। বেলজিয়াম জাতীয় দলের সহকারী এই কোচ বলেন, ‘আমার জন্য আরেকটি কঠিন বিষয় হচ্ছে, খেলোয়াড় হিসেবে আমরা গোল করে অভ্যস্ত। কিন্তু আমি জানি না যে লাফ (গোল করে) দিতে পারব কি না? আমি কি উদ্যাপন করব নাকি উদ্যাপন করব না? এটি খেলার আনন্দের মুহূর্তটিকে শেষ করে দেয়।’