বিশ্বকাপের আগে মেসির প্রশংসায় পঞ্চমুখ রোনালদো
ক্লাবের মালিক, কোচ, সাবেক সতীর্থ—পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সবারই সমালোচনা করেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। কেবল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসির বেলাতেই ছিলেন ব্যতিক্রম। আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন পর্তুগালের অধিনায়ক। দুজনের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ না হলেও দুজনের সম্পর্কটা যে দারুণ, সেটাই তুলে ধরেছেন রোনালদো।
কয়েক বছর আগেও বর্তমান বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় কে প্রশ্নে মেসি কিংবা রোনালদোর নামটাই আসত সবার আগে। এখন না হয় ৩৭ বছর বয়সী রোনালদো ফর্ম হারিয়েছেন। মেসি ফর্মে থাকলেও বয়স আর তাঁর হয়ে কথা বলছে না। ২০০৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত টানা ১০ বছর ব্যালন ডি’অর জিতেছেন মেসি অথবা রোনালদো। মেসি ব্যালন ডি’অর জিতেছেন সাতবার আর রোনালদো পাঁচবার।
মাঠে দুজনের মধ্যে সেরার লড়াই চলতে থাকলেও মাঠের বাইরে দুজনের সম্পর্কে যে সেই লড়াইয়ের প্রভাব নেই, সেটাই যেন স্পষ্ট করলেন রোনালদো, ‘মেসি দুর্দান্ত খেলোয়াড়, জাদুকরী। মানুষ হিসেবে আমরা ১৬ বছর একই মঞ্চ শেয়ার করছি। ভাবতে পারেন, ১৬টা বছর! তাঁর সঙ্গে আমার দারুণ সম্পর্ক। একসঙ্গে বাসায় থাকা, ফোনে কথা বলা—সে আমার ঠিক তেমন বন্ধু নয়, মেসি আমার সতীর্থের মতো।’
মেসি নিজের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে খুব বেশি ভাবেন না। বরাবরই রোনালদোর সম্পর্কে ইতিবাচক কথা বলেন, দুজনের মাঠের দ্বৈরথকে সম্মান করেন। নিজের প্রতি মেসির এই দৃষ্টিভঙ্গিই পছন্দ করেন রোনালদো, ‘আমার ব্যাপারে সে সব সময় যেভাবে কথা বলে, আমি সত্যিই তাকে সম্মান করি। এমনকি তার স্ত্রী (আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো) আর আমার প্রেমিকা (জর্জিনা রদ্রিগেস), তারাও একে অপরকে সম্মান করে। তারা দুজনই আর্জেন্টাইন। কী বলব মেসির সম্পর্কে? একজন ভালো মানুষ। সে ফুটবলের জন্য সব করে।’
মেসি-রোনালদোর দুজনের ক্যারিয়ার এখন সায়াহ্নে। শেষের পথচলায় মেসি ছন্দে থাকলেও ফর্ম হারিয়েছেন রোনালদো। টেন হাগ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ হওয়ার পর বেশির ভাগ ম্যাচেই শুরুর একাদশেই সুযোগ পাচ্ছেন না তিনি।
টেন হাগ সম্পর্কে সাক্ষাৎকারে রোনালদো সরাসরিই বলেন ‘টেন হাগের জন্য আমার কোনো সম্মান নেই। কারণ, আমাকেও তিনি সম্মান দেখান না। কেউ আমাকে সম্মান না দিলে, আমি তাঁকে সম্মান দিই না।’ সমালোচনা করেছেন ক্লাবের মালিকদেরও। ফুটবল বিশ্লেষকদের অনেকেই তাই ইউনাইটেডে রোনালদো অধ্যায়ের শেষ দেখছেন।