মাঠে নেমেই রেকর্ড মেসির
লুসাইলের আইকনিক স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার জাতীয় সংগীতে গলা মেলালেন, এরপর সিমন মার্চিনিয়াকের নেতৃত্বাধীন রেফারি দলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রবেশ করলেন মাঠে। শেষবারের মতো বিশ্বকাপের মঞ্চে।
রেফারির কিক অফ বাঁশি বাজতেই একটি রেকর্ড গড়ে ফেললেন লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ২৬ ম্যাচ খেলার কীর্তি এখন আর্জেন্টাইন মহাতারকার। ছাড়িয়ে গেছেন ২৫ ম্যাচ খেলা জার্মানির ’৯০ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক লোথার ম্যাথাউসকে।
আজকের ফাইনালে ফ্রান্সকে নেতৃত্ব দেওয়া উগো লরিসের এটি বিশ্বকাপে ২০তম ম্যাচ। বর্তমান ফুটবলারদের মধ্যে মেসির পর যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। আগামী সপ্তাহে বয়স ৩৬ পূর্ণ হতে যাওয়া লরিস পরের বিশ্বকাপ না খেললে অন্তত ৮ বছরের জন্য রেকর্ডটা থেকে যাবে মেসিরই।
ম্যাচসংখ্যার পাশাপাশি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি সময় খেলার রেকর্ডও গড়ছেন মেসি। চারটি বিশ্বকাপ খেলার পথে জার্মানির পাওলো মালদিনি মোট ২ হাজার ২১৭ মিনিট খেলেছিলেন।
আজ ফাইনালে নামার আগে মেসি খেলেছেন মোট ২ হাজার ১৯৪ মিনিট। ম্যাচের ২৪ মিনিটেই বেশি সময় মাঠে থাকার রেকর্ড হয়ে গেছে আর্জেন্টাইন অধিনায়কের। এর আগের মিনিটেই বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল পেয়ে গেছেন তিনি।
২০০৬ থেকে শুরু করা মেসির এটি টানা পঞ্চম বিশ্বকাপ। এবারের আসরে আর্জেন্টিনার হয়ে প্রতিটি মিনিটই তিনি মাঠে ছিলেন। ৫ গোল করে আর ৩ গোল করিয়ে দলকে তুলে এনেছেন শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে। এই মঞ্চে আর্জেন্টিনাকে তুলে এনেছিলেন ২০১৪ আসরেও। তবে শিরোপা হাতে তোলা হয়নি।
সাতবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী জানেন, ম্যাচসংখ্যা বা মিনিটের রেকর্ড যতই হোক, সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ওই সোনালি ট্রফিই।