একাধিক ভাষায় কথা বলতে পারা নেইমার এবার কি আরবি শিখবেন
ব্রাজিল তো তাঁর জন্মভূমি। জীবনের ২১টি বছর নিজ দেশে কাটানোর পর ইউরোপে পাড়ি জমান নেইমার। স্পেন থেকে ফ্রান্স হয়ে ব্রাজিলিয়ান তারকা এখন নাম লিখিয়েছেন এশিয়ার ফুটবলে। খেলছেন সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালে। এক দেশ থেকে আরেক দেশের ফুটবলে খেলতে গিয়ে নানা ভাষাভাষী মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হচ্ছে নেইমারকে। সময়ের প্রয়োজনে তাই একাধিক ভাষাও শিখতে হয়েছে।
নেইমার কথা বলতে পারেন পাঁচটি ভাষায়। এর মধ্যে ব্রাজিলের জাতীয় ভাষা পর্তুগিজের সঙ্গে স্প্যানিশ ভাষায় খুবই দক্ষ। এ ছাড়া ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ আর কাতালান ভাষায় টুকটাক কথা বলতে পারেন। পর্তুগিজ নেইমারের মাতৃভাষা। এটা তো ভালো বলতে পারবেনই। স্প্যানিশটা শিখেছেন ২০১৩ সালে স্পেনের ক্লাব বার্সেলোনায় নাম লেখানোর বছর তিনেক আগে।
স্পেনে গিয়ে শিখেছেন কাতালান ভাষা। কাতালান ক্লাব বার্সেলোনায় খেলতেন বলেই সেই ভাষাটাও আয়ত্ত করেছেন। তবে পর্তুগিজ আর স্প্যানিশের মতো কাতালান অতটা ভালো বলতে পারেন না। বার্সেলোনায় খেলার সময় সতীর্থদের সঙ্গে তিনি মূলত স্প্যানিশ ভাষায়ই কথা বলতেন।
২০১৭ সালে দলবদলের বিশ্ব রেকর্ড গড়ে বার্সেলোনা থেকে ফ্রান্সের ক্লাব পিএসজিতে নাম লেখান। সেখানে গিয়ে শিখেছেন ফ্রেঞ্চ ভাষা। তবে প্যারিসের ক্লাবটির সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের মাধ্যম ছিল স্প্যানিশ ভাষা। পিএসজির ফরাসি এই তারকা ফ্রেঞ্চ ভাষার সঙ্গে স্প্যানিশ আর ইংরেজিটাও ভালো বলতে আর বুঝতে পারেন।
বার্সেলোনার পর লিওনেল মেসির সঙ্গে পিএসজিতেও খেলেছেন নেইমার। দুজনের বেশ ভালো বন্ধুত্বও আছে। তবে মেসি শুধু স্প্যানিশ ও কাতালান ভাষায় কথা বলতে পারেন। স্প্যানিশ আর্জেন্টিনার জাতীয় ভাষা। আর কাতালানটা শিখেছেন সেখানে দীর্ঘদিন থাকার কারণে। মেসি ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ আর পর্তুগিজ বলতে পারেন না। তাই নেইমারের সঙ্গে তাঁর ভাব বিনিময় হয় স্প্যানিশ ভাষায়।
ইংরেজিতে কথা বলতে পারলেও এ ভাষাটায় নেইমার অতটা স্বচ্ছন্দ নন। এ বছরের জুনে আল হিলালের এক টিকটক ভিডিওতে নেইমারকে ইংরেজি বলতে শোনা গেছে। সেটা পরবর্তী সময়ে এক্সে ছড়িয়ে পড়েছিল। সৌদি আরবের ক্লাবে নাম লেখানোয় সেখানে খেলতে খেলতে কি আরবি ভাষাটাও শিখে ফেলবেন নেইমার? সময়ই এর উত্তর দেবে।