মার্তার নামের পুরস্কারে মনোনয়ন পেলেন মার্তা নিজেই
ফুটবল গোলের খেলা—ফুটবল নিয়ে শোনা ক্লিশে হয়ে যাওয়া বাক্যগুলোর একটি এটা। যদিও এর বাস্তবতা অস্বীকারের উপায় নেই। একটি দল যতই ভালো খেলুক, জিততে হলে শেষ পর্যন্ত গোল করেই জিততে হবে।
সব গোলও আবার একই মাপের হয় না। কিছু কিছু গোল আছে, যেগুলোর রেশ থেকে যায় অনেক দিন পর্যন্ত। ফুটবলারদের পায়ের জাদুই সেই গোলগুলোকে দেয় অমরত্ব।
এই গোলগুলো শুধু মানুষের মনেই জায়গা করে নেয় এমন নয়, ফুটবল–মঞ্চে প্রতিবছর সেই গোলগুলোর জন্য পুরস্কারও দেওয়া হয়। সেরা গোলটি বাছাই করে প্রতিবছর পুরস্কার দেয় ফিফা। ফিফা অ্যাওয়ার্ডে সেরা গোলের এই পুরস্কার পুসকাস অ্যাওয়ার্ড নামে পরিচিত। গত বছর পর্যন্ত নারী ও পুরুষ ফুটবলাররা সেই পুরস্কার পাওয়ার জন্য বিবেচিত হতো।
কিন্তু এ বছর থেকে মেয়েদের জন্য আলাদা করে দেওয়া হবে পুরস্কারটি। যার নাম রাখা হয়েছে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি মার্তার নামে—মার্তা অ্যাওয়ার্ড। মজার ব্যাপার, নিজের নামে চালু হওয়া এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন মার্তাও।
চলতি বছরের জুনে জ্যামাইকার বিপক্ষে ৪–০ গোলে জেতা প্রীতি ম্যাচে অসাধারণ একটি গোল করেন ব্রাজিলের মার্তা। মাঝ মাঠের কাছাকাছি জায়গায় বল পেয়ে এক খেলোয়াড়কে কাটিয়ে প্রতিপক্ষের বক্সে ঢোকেন মার্তা।
সেখানে তাঁকে বাধা দিচ্ছিল দুই খেলোয়াড়। কিন্তু দুজনকেই দারুণ দক্ষতায় ফাঁকি দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন মার্তা। এরপর দারুণ এক শটে বল জালে জড়ান। ম্যাচের পর গোলটি নিয়ে বেশ আলোচনাও হয়েছিল। সেই গোলটির কারণেই নিজের নামে ঘোষিত পুরস্কারের দৌড়ে জায়গা পেয়েছেন তিনি।
মার্তা ছাড়াও এ তালিকায় জায়গা পেয়েছেন ডেলফিন কাসকারিনো, মারিনা হেগেরিং, সাকিনা কারচাউই, পাউলিনা ক্রুমবিয়েগেল, নাইনা মাতেজিচ, বেথ মেড, গুসেপ্পিনা মোরাকা, আসিসাত ওশোয়ালা, মায়রা পেলায়ো এবং ট্রিনিটি রোডম্যান।