‘অচেনা’ দলের কাছে লিভারপুলের হার, দায় নিলেন ক্লপ
হার দিয়েই ইউরোপা লিগের গ্রুপ পর্ব শেষ করল লিভারপুল। বেলজিয়ান ক্লাব সেন্ট জিলোয়াঁর মাঠে লিভারপুলের হার ২-১ গোলে। ৩২ মিনিটে মোহাম্মদ আমোরার গোলে পিছিয়ে পড়া লিভারপুল ৩৯ মিনিটে সমতায় ফেরে জারেল কানাশের গোলে। তবে ৩ মিনিট পরই ক্যামেরোন পুয়েরতাসের গোলে আবার এগিয়ে যায় জিলোয়াঁ। ম্যাচের বাকি সময় আর সমতায় ফিরতে পারেনি ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৬ ম্যাচ পর হারের স্বাদ পেল লিভারপুল। এর আগে নভেম্বরের শুরুতে ইউরোপা লিগেই তুলুজের কাছে হেরেছিল তারা। এ হারের পরও অবশ্য গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ ষোলোয় গেছে ইংলিশ ক্লাবটি।
আগেই শেষ ষোলো নিশ্চিত হওয়ায় এদিন অপেক্ষাকৃত তরুণ এবং অনিয়মিত মুখ নিয়েই একাদশ সাজান ক্লপ। এই ম্যাচে বিশ্রামে ছিলেন মোহাম্মদ সালাহ, ভার্জিল ফন ডাইক, ট্রেন্ট আলেক্সান্দার-আরনল্ড এবং গোলরক্ষক আলিসন বেকারের মতো অভিজ্ঞরা। যে দলকে ক্লপ এদিন মাঠে নামিয়েছেন, সেটি ইউরোপিয়ান কোনো টুর্নামেন্টের ম্যাচে তাদের সর্বকনিষ্ঠ একাদশও। যে দলের গড় বয়স ছিল ২২ বছর ১৫৬ দিন।
লিভারপুলের এই দলে তিনজন খেলোয়াড় ছিলেন ‘টিনএজার’ বা ‘কিশোর’। স্কটিশ উইঙ্গার বেন ডোয়াকের বয়স ১৮ বছর এবং লেফট ব্যাক লুক চেম্বারস ও মিডফিল্ডার কাইদে গর্ডনের বয়স ১৯ বছর। এ ছাড়া ২০ বছর বয়সী খেলোয়াড় ছিলেন আরও তিনজন—ম্যাচে লিভারপুলের একমাত্র গোলদাতা কানাশ, রাইটব্যাক কনর ব্র্যাডলি ও মিডফিল্ডার হার্ভে এলিয়ট। অপেক্ষাকৃত তরুণ এই দলের মধ্যে অবশ্য সমন্বয় ও বোঝাপড়ার ঘাটতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।
ম্যাচ শেষে ক্লপ অবশ্য এই হারের দায় নিজের কাঁধেই নিয়েছেন। বলেছেন, ‘আমি দলের মধ্যে প্রচুর অদল-বদল করেছি। এই পরিবর্তন দলের ছন্দ রাখার পক্ষে সহায়ক ছিল না। এই ধরনের ম্যাচের পর আমি কখনোই খেলোয়াড়দের বিচার করব না। বলব না যে, “ওহ সে যথেষ্ট ভালো খেলতে পারেনি।” আমি জানি, তারা কতটা ভালো। কারণ, আমি তাদের অনুশীলনে প্রতিদিন দেখি। আর এটা গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা।’
তরুণ খেলোয়াড়দের বিকাশে এই ধরনের ম্যাচের গুরুত্ব নিয়ে ক্লপ আরও বলেন, ‘এটা এমন ম্যাচ, যেখানে আপনি সংগ্রাম করছেন, লড়াই করছেন এবং টিকে থাকার চেষ্টা করছেন। আমি মনে করি না এমন ম্যাচ খেলা ছাড়া খেলোয়াড়দের ক্যারিয়ার কখনো শুরু হওয়া উচিত।’
গত রাতে অন্য ম্যাচে মলদোভার ক্লাব শেরিফ তিরাসপুলকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে এএস রোমা। এই জয়ের পরও ইতালিয়ান ক্লাবটি অবশ্য গ্রুপ রানার্সআপ হয়েই পরের রাউন্ডে গেছে। এই গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চেক প্রজাতন্ত্রের ক্লাব স্লাভিয়া প্রাগ। আরেক ম্যাচে মার্শেইকে ১-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ–সেরা হয়েই নকআউটে গেছে ব্রাইটন। ম্যাচ হারলেও এই গ্রুপ থেকে ব্রাইটনের সঙ্গী হয়েছে ফরাসি ক্লাবটি।