২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

এমবাপ্পেকে থামানোর কৌশল জানেন মুলার

দারুণ ছন্দে এমবাপ্পেছবি: রয়টার্স

কিলিয়ান এমবাপ্পে তাঁর লক্ষ্যের কথা আগেই জানিয়েছেন। মিউনিখে পা রাখার উদ্দেশ্য একটাই—বায়ার্নকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের পরের ধাপে যাওয়া। আর এ কাজ করতে হলে জ্বলে উঠতে হবে তাঁকেই।

এমবাপ্পে এই ম্যাচের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা যেমন পিএসজি জানে, তেমনি তা বায়ার্নেরও জানা। ফরাসি এই তারকাকে থামাতে মরিয়া ইউলিয়ান নাগেলসমানের দল। এমবাপ্পেকে থামাতে তাঁকে ঘিরে বিশেষ পরিকল্পনা সাজিয়েছেন নাগেলসমান, আর তা স্পষ্ট টমাস মুলারের কথাতেই।

পিএসজির বিপক্ষে মাঠে নামার আগে তো এমবাপ্পেকে অনেকটা হুমকিই দিয়ে রেখেছেন মুলার। জার্মান এই ফুটবলার স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে এমবাপ্পে বায়ার্নের বিপক্ষে সফল হবেন না।

আরও পড়ুন

ঘরের মাঠে প্রথম লেগে ১-০ গোলে হারে পিএসজি। সেই ম্যাচে পূর্ণ ফিট এমবাপ্পেকে পায়নি ক্রিস্তফ গালতিয়েরের দল। এমবাপ্পে চোট থেকেও ফিরে যদিও বায়ার্নের জালে বলও জড়িয়েছিলেন, তবে অফসাইডের কারণে গোল বাতিল হয়। যে কারণে ঘরের মাঠে হারতে হয় পিএসজিকে।

এমবাপ্পে এখন পুরোপুরি ফিট। বায়ার্নের বিপক্ষে প্রথম লেগের পর এমবাপ্পে খেলেছেন আরও তিন ম্যাচে। এই তিন ম্যাচে এমবাপ্পের গোল ৫টি। দলও জয় পেয়েছে সব কটি ম্যাচে। মেসির সঙ্গে এই সময়ে এমাবাপ্পের জুটিটাও জমে উঠেছে বেশ।

আরও পড়ুন
মেসি ও এমবাপ্পের রসায়ন জমে উঠেছে
ছবি: টুইটার

তবে কীভাবে এ এমবাপ্পেকে থামানো যাবে, সেই কথা বলেছেন মুলার, ‘মাঝমাঠে জায়গাটা কমাতে হবে, ওর সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান লড়াইয়ে আমার জিততে আত্মবিশ্বাসী। এমবাপ্পে যদি কোনো ফুটবলারকে পাস দেয়, তাহলে কেউ না কেউ তার পেছনে থাকবে। পুরো বিশ্ব চায় এমবাপ্পে ওর খেলাটা খেলুক। তবে আমরা আগামীকাল (আজ) তা চাই না। আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে মাঠে ও খুব একটা আনন্দে থাকবে না।’

আরও পড়ুন

এমবাপ্পের সামলানোর চিন্তাতে পুরো পিএসজি দলটাকে ভুলে গেলে চলবে না। কারণ, এই দলে খেলছেন লিওনেল মেসির মতো ফুটবলার। মেসি-এমবাপ্পেদের ছায়াতে আলোচনার বাইরে থাকা কেউও মুলারদের ঘুম নষ্ট করতে পারে। সে কথাও মাথায় রাখছে বায়ার্ন, ‘এমবাপ্পে পিএসজির হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল করে। এমবাপ্পেকে থামানোর কৌশল সম্পর্কে আমাদের ভাবতে হবে, তবে ফুটবল তো দলীয় খেলা। শুধু নির্দিষ্ট একজন ফুটবলারদের থামানোর খেলা এটা না।’