চোটের কারণে দলে নেই নেইমার
বিশ্বকাপের পর এখনো নিজেদের সেরা ছন্দ খুঁজে পায়নি পিএসজি। লিগে সর্বশেষ দুই ম্যাচে জয়হীন। হেরেছে শেষ দুই ‘অ্যাওয়ে’ ম্যাচে। ঘরের মাঠে নিজেদের শেষ ম্যাচে বিশ্বকাপের পর প্রথমবার লিওনেল মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেকে নিয়ে দল সাজিয়েও রেঁসের বিপক্ষে জিততে পারেনি ক্রিস্তফ গালতিয়ের দলের। সে ম্যাচে মেসি-এমবাপ্পে ছিলেন অনেকটাই নিষ্প্রভ।
নেইমারের অসাধারণ একটি গোলই দলকে এগিয়ে দিয়েছিল। ছন্দ খোঁজার ম্যাচে পিএসজি দলে পাচ্ছে না আগের ম্যাচের গোলদাতা নেইমারকে। পেশির চোটের কারণে মঁপেলিয়ের বিপক্ষে খেলতে পারবেন না এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। মঁপেলিয়ের বিপক্ষে ঘোষণা করা ২১ সদস্যের দলে অবশ্য আছেন মেসি-এমবাপ্পে।
ক্লাবের ওয়েবসাইটে মঙ্গলবার দেওয়া বিবৃতিতে পিএসজি জানায়, পেশির চোটে ভুগছেন নেইমার এবং এ জন্য ম্যাচের আগের দিন অনুশীলনও করেননি।
নেইমারকে হারানো পিএসজির জন্য জন্য বড় ধাক্কাই হতে পারে। কারণ চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২৫ ম্যাচে ১৭ গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে ১৫টি করিয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান।
ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে পিএসজি কোচও জানিয়েছেন, নেইমারকে না পাওয়া দলের ভারসাম্যে প্রভাব ফেলবে, ‘আমাদের তিনজন প্রতিভাবান আক্রমণাত্মক ফুটবলার আছে (মেসি, নেইমার, এমবাপ্পে)। তাদের কাউকে ছাড়া খেলতে হলে দলের সমন্বয়ে একটা সমস্যা তৈরি হয়। আগে তারা একসঙ্গে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছে; যদিও রেঁসের বিপক্ষে তাদের পারফরম্যান্স সন্তুষ্ট হওয়ার মতো ছিল না।’
মঁপেলিয়ের বিপক্ষে মার্কো ভেরাত্তিকেও পাচ্ছে না পিএসজি। রেঁসের বিপক্ষে সরাসরি লাল কার্ড দেখেছিলেন এই মিডফিল্ডার। পিএসজির মাঝমাঠ নিয়ে যে ক্রিস্তফ গালতিয়ের দুশ্চিন্তায় আছেন, তা তাঁর কথাতেই স্পষ্ট, ‘মিডফিল্ডে ভালো করতে আমাদের নতুন কৌশল খুঁজে বের করতে হবে। মাঝমাঠে ফুটবলারদের আরও তৎপর হতে হবে। আরও আক্রমণাত্মক হতে হবে, দল হিসেবে একসঙ্গে আরও বেশি পরিশ্রম করতে হবে। সবারই নিজের পারফরম্যান্সের দিকে চোখ দিতে হবে। দেখতে হবে তারা দলের জন্য কী করছে।’
লিগে ২০ ম্যাচে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে আছে ক্রিস্তফ গালতিয়ের দল।