যেখানে হলান্ডের পেছনে মেসি-রোনালদো-এমবাপ্পেরা
এখন যিনি চ্যাম্পিয়নস লিগে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক, সেই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এই টুর্নামেন্টে প্রথম গোলটা কবে পেয়েছিলেন জানেন? ২০০৭ সালের ১০ এপ্রিল, রোমার বিপক্ষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে। চ্যাম্পিয়নস লিগে ওটা ছিল রোনালদোর ২৬তম ম্যাচ।
২৬টি ম্যাচ এখনো চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার সৌভাগ্য হয়নি আর্লিং হলান্ডের। গতকাল ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে সেভিয়ার বিপক্ষে যে ম্যাচ খেলেছেন, সেটা চ্যাম্পিয়নস লিগে তাঁর মাত্র ২০তম। এই ২০ ম্যাচে নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকারের গোল কয়টি হয়েছে জানেন? ২৫টি!
এর মধ্যে গতকাল তাঁর জোড়া গোলে সেভিয়াকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে সিটি। তবে জয়ের আনন্দের সঙ্গে হলান্ডের বাড়তি পাওনা চ্যাম্পিয়নস লিগে দারুণ কিছু রেকর্ডও।
২০ ম্যাচে ২৫ গোল, এটা যে একটা রেকর্ড, তা বোধ হয় না বলে দিলেও চলছে। এত কম ম্যাচ খেলে চ্যাম্পিয়নস লিগে ২৫ গোল করতে পারেননি আর কেউ। ম্যাচপ্রতি গোলের হারে হলান্ড কতটা এগিয়ে আছেন, সেটা বোঝা যাবে কিছু তথ্য দিলেই। যার সঙ্গে এই সময়ে তাঁর সবচেয়ে বেশি তুলনা হয়, সময়ের সেরা স্ট্রাইকার হিসেবে তাঁর সঙ্গে যাঁর নামটা উচ্চারিত হয়, সেই কিলিয়ান এমবাপ্পের ২৫ গোল করতে লেগেছিল ৪২ ম্যাচ!
এমবাপ্পের আসলে এ তালিকায় অনেক পেছনে। হলান্ডের আগে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে ২৫ গোল করার রেকর্ডটা ছিল যৌথভাবে দুজনের। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক ডাচ স্ট্রাইকার রুদ ফন নিস্টলরয় ও মিলানের সাবেক ইতালিয়ান স্ট্রাইকার ফিলিপ্পো ইনজাঘির। দুজনেরই লেগেছিল ৩০ ম্যাচ। ৩৯ ম্যাচ লেগেছিল বায়ার্ন মিউনিখ ও স্টুটগার্টের সাবেক জার্মান স্ট্রাইকার মারিও গোমেজের, করিম বেনজেমার লেগেছিল ৪১ ম্যাচ। এমবাপ্পের মতো ৪২ ম্যাচে গিয়ে ২৫তম গোলটা পেয়েছিলেন লিওনেল মেসি ও রবার্ট লেভানডফস্কি।
ম্যানচেস্টার সিটি হয়ে প্রিমিয়ার লিগে অভিষেকেই জোড়া গোল করেছিলেন হলান্ড, এবার জোড়া গোল করলেন সিটির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে অভিষেকেও। ম্যানচেস্টার সিটির ইতিহাসে আর কেউ এ দুই টুর্নামেন্টেই অভিষেকে গোল করতে পারেননি।
এখানেই শেষ নয় হলান্ডের কীর্তি, সিটির আগে ডর্টমুন্ডের হয়ে প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচ খেলতে নেমেও গোল পেয়েছিলেন নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার। এর আগে গোল করেছিলেন সালজবুর্গের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে অভিষেকেও। তিনটি আলাদা ক্লাবের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে অভিষেকে গোল করা চতুর্থ খেলোয়াড় হলান্ড। তাঁর আগে এ কীর্তি ছিল ফার্নান্দো মরিয়েন্তেস, হাভিয়ের স্যাভিওলা ও জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের।
সব মিলিয়ে সিটির জার্সিতে ৮ ম্যাচে ১০ গোল হলান্ডের, প্রতি ৫৪ মিনিটে করেছেন একটি করে গোল। এই হারে এগোতে থাকলে হলান্ড আরও কত রেকর্ড ভেঙে দেবেন, কে জানে!