মায়ামির বরণ অনুষ্ঠানে মেসি, ‘আমি সব সময়ের মতোই জিততে চাই’
ঝড়, বৃষ্টি ও বজ্রপাত—ফ্লোরিডার গ্রীষ্মের পরিচিত রূপ অপেক্ষাটা বাড়াল। নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুই ঘণ্টা পর শুরু হয় ইন্টার মায়ামির মেসিবরণ অনুষ্ঠান। এতে অনুষ্ঠানের মাহাত্ম্য একটুও কমেনি। ঝড়-বৃষ্টি শেষে আলো-আঁধারির মায়াবি খেলার মাঝে লিওনেল মেসি যখন ফোর্ট লডারডেলে ইন্টার মায়ামির ডিআরভি পিএনকে স্টেডিয়ামে ঢুকলেন, বিপুল হর্ষধ্বনি আর করতালিতে তাঁকে স্বাগত জানান ফ্লোরিডার ক্লাবটির সমর্থকেরা।
শুধু কি সমর্থকদের হর্ষধ্বনিই? ছিল আলোর রোশনাই, আতশবাজির ঝলকানি আর কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার সংগীতের মূর্ছনাও। এমন আয়োজনেই মেসিকে বরণ করে নিয়েছে ইন্টার মায়ামি। এত আয়োজনের মধ্যেও সবাই অপেক্ষায় ছিলেন, যাঁকে নিয়ে এই আয়োজন, সেই মেসি কী বলেন।
মেসির কথা শুনে খুশিই হওয়ার কথা ইন্টার মায়ামির সমর্থকদের। মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে মেসি বললেন, ‘আমি খুব খুশি যে পরিবার নিয়ে থাকার জন্য এ শহরটা বেছে নিয়েছি। আমি খুশি যে এ প্রকল্প বেছে নিয়েছি। আমরা সবকিছু খুব উপভোগ করব। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।’
যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) ইন্টার মায়ামির অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। ইস্টার্ন করফারেন্সে ১৫ দলের মধ্যে তাদের অবস্থান সবার নিচে। কিন্তু মেসির কথায় আত্মবিশ্বাস খুঁজে পেতে পারে দলটির সমর্থক আর মালিকপক্ষ, ‘আমরা ভালো সময় কাটাতে যাচ্ছি এবং ভালো কিছু ঘটবে। আপনাদের ধন্যবাদ, আজকের সব আয়োজনের জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।’
মেসি এরপর আরও বড় স্বপ্ন দেখালেন ইন্টার মায়ামির সমর্থকদের, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অনুশীলনে নামতে আমার তর সইছে না।’ বয়স হয়ে গেছে ৩৬ বছর। ক্যারিয়ারের গোধূলিলগ্নে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক। কেউ কেউ বলছেন, এই বয়সে মেসি কতটুকু দিতে পারবেন মায়ামিকে! মেসি হয়তো তাদের উদ্দেশেই বললেন, ‘সব সময়ের মতো আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সেই একই তাড়না বোধ করছি। সত্যি, আমি সব সময়ের মতো জিততে চাই এবং মায়ামিকে আরও বেড়ে উঠতে সাহায্য করতে চাই।’