২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

হলান্ডকে যে কারণে মেসির পর্যায়ের মনে করেন না গার্দিওলা

গোলের পর গোল করে চলছেন আর্লিং হলান্ডছবি: এএফপি

অবিশ্বাস্য! এ মৌসুমে আর্লিং হলান্ড যা করছেন, সেটাকে সম্ভবত এমন একটি বিশেষণ দিয়েই বোঝানো যায়। ৮ ম্যাচে ১৪ গোল এবং ৩টি গোল বানানো—যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্য স্বপ্নের মতো। তবে এমন কিছু যদি নিজের প্রথম মৌসুমেই হয়, সেটা আরও বড় ব্যাপার।

কদিন আগে হলান্ড নিজেই বলেছিলেন, এত গোল করবেন তা তিনি নিজেও আশা করেননি। বিস্ময়ের মাত্রাটাকে হলান্ড আরও বিস্তৃত করেছেন ম্যানচেস্টার ডার্বিতে হ্যাটট্রিক করে। তবে এত গোলের পরও কোচ গার্দিওলার মন ভরাতে পারছেন না হলান্ড। বলেছেন, এই নরওয়েজিয়ান তারকা মেসির পর্যায়ের নন। কেন হলান্ডকে মেসির পর্যায়ে ভাবেন না, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটি কোচ।

ইউনাইটেডের বিপক্ষে ম্যাচে ৬ গোলের ৫টিতেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন হলান্ড। এমন নয় যে তিনি কেবল প্রথাগত সুযোগসন্ধানী স্ট্রাইকারের মতো খেলছেন। নিখুঁত ফিনিশিংয়ের সঙ্গে একক প্রচেষ্টার গোলেও মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন ২২ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার। এর মধ্যে লিওনেল মেসি এবং ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে তাঁর তুলনাও শুরু হয়েছে।

তবে হলান্ডের কোচ গার্দিওলা নিজেই তাঁকে মেসির সমকক্ষ মনে করেন না। কিন্তু কেন? জানতে চাইলে দুই শিষ্যের মধ্যে গার্দিওলা পার্থক্য করেছেন এভাবে, ‘পার্থক্য হচ্ছে, এই গোলগুলো করার জন্য হলান্ডের হয়তো তার সব সতীর্থকে প্রয়োজন। এটা অবিশ্বাস্য। তবে মেসি নিজে নিজেই এটা করার সামর্থ্য রাখে।’

প্রিমিয়ার লিগের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ঘরের মাঠে টানা তিন ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন হলান্ড। অনেকেই তাঁর মাঝে একই সঙ্গে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এবং জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের মতো তারকাদের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন। তবে গার্দিওলা এখনো শিষ্যের ওপর পুরোপুরি খুশি নন।

কেন খুশি নন? গার্দিওলার উত্তর, “সে (হলান্ড) বলেছে, ‘আমি ৫ বার বল স্পর্শ করে, ৫টিতেই গোল করাকে প্রাধান্য দিই।’ এটা আমার পছন্দ না। আমি চাই সে আরও বেশি করে বল স্পর্শ করুক।” গার্দিওলা অবশ্য গোল করাই যে রোনালদোর কাজ, তা-ও পরে যোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সে গোল করার জন্য একজন ফুটবলার হয়েছে।’

মেসি-রোনালদোর পর্যায়ে যেতে হলান্ডের হয়তো আরও সময় লাগবে। ব্যক্তিগত নৈপুণ্য ধরে রাখার পাশাপাশি শিরোপা জিততেও রাখতে হবে বড় অবদান। তবে শুরুটা যেভাবে হয়েছে, তা এখনই বড় কিছুর ইঙ্গিতই দিচ্ছে। বাকিটা হয়তো সময়ই বলে দেবে।