মোহামেডানের হার রহমতগঞ্জের কাছে, আবাহনীর বড় জয়

মোহামেডান–রহমতগঞ্জ ম্যাচের একটি মুহূর্তছবি: বাফুফে

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়ে দিয়ে আকাশে উড়ছিল মোহামেডান।  

ওড়ারই কথা। কুমিল্লার ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে সেই ম্যাচে সাদা–কালোরা প্রায় ৭০ মিনিট খেলেছিল ১০ জন নিয়ে। তারপরও জিতেছিল ১-০ গোলে

আজ ফেডারেশন কাপে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে সেই মোহামেডানকেই ১–০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে পুরান ঢাকার ক্লাব রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। ‘বি’ গ্রুপেরই অন্য ম্যাচে কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে ঢাকা আবাহনী ৩-০ গোলে হারিয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনীকে।

বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আজ রহমতগঞ্জের বিপক্ষে মোহামেডানকে খুব একটা খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং রহমতগঞ্জের খেলাই নজর কেড়েছে। কিংসের বিপক্ষে জয়ের নায়ক অধিনায়ক সোলেমান দিয়াবাতে আজ খেলেননি। আর তাতেই আক্রমণে মোহামেডানের দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে।

আরও পড়ুন

ঘানার আরনেস্ট বোয়েটাং, আলমগীর কবির রানা, মিনহাজুর রাকিব কিংবা আজকের অধিনায়ক মোজাফফরভরা নিজেদের মধ্যে ছিলেন সমন্বয়হীন। সে কারণে রহমতগঞ্জের রক্ষণে ফাটল ধরাতে পারেনি মোহামেডান। রহমতগঞ্জের রক্ষণে উজবেক ডিফেন্ডার ইসকান্দার সিদিক জোনোভ, মাহমুদুন্নবী কিরণ, ইশতেখারুল আলম শাকিলরা বাধার শক্ত দেয়াল তৈরি করেছিলেন।

ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে রহমতগঞ্জের রাজন হালদার
ছবি: বাফুফে

রহমতগঞ্জ মোহামেডানের রক্ষণ ভাঙে ম্যাচের ৮২তম মিনিটে। গোলের দায়টা মোহামেডানের ডিফেন্ডারদের। রাজন হালদার বক্সের মধ্যে একটা কাটব্যাক করেছিলেন। কিন্তু সেই কাটব্যাক ঠেকালেও বল যে ফাঁকায় দাঁড়ানো রাজনের কাছেই আবার গেছে, সেটা বুঝতে পারেননি ডিফেন্ডাররা। রাজনই কোনাকুনি শটে মোহামেডানের গোলকিপার সাকিব আল হাসানকে বোকা বানান।

পিছিয়ে পড়ার পরও মোহামেডানের খেলায় ধার বাড়েনি। উল্টো রহমতগঞ্জই ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ হারিয়েছে একাধিকবার। ৮৫ মিনিটে রহমতগঞ্জের মিসরীয় ফুটবলার মোস্তফার মুখে চড় মেরে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন মোহামেডানের ডিফেন্ডার জাহিদ হোসেন শান্ত। এরপরও ১০ মিনিটের মতো খেলা হয়েছে, মোহামেডানকে মনে হয়েছে এলোমেলো।

দিনের অন্য ম্যাচে ঢাকা আবাহনী বড় ব্যবধানে জিতলেও তাদের প্রথম গোলটি নিয়ে কিছুটা বিতর্ক হয়েছে। কামরুল ইসলামের ক্রস থেকে সুমন রেজার হেড পোস্টে লেগে ভেতরে ঢোকার সময় গোল লাইন থেকে ক্লিয়ার করেন চট্টগ্রাম আবাহনীর এক ডিফেন্ডার।

গোল হয়েছে কি হয়নি, বিতর্ক তা নিয়েই। রেফারি গোলের বাঁশি বাজান প্রায় ৭ মিনিট পর। ঢাকা আবাহনীর দ্বিতীয় গোলটি ম্যাচের ৭৬ মিনিটে। গোলদাতা মোহাম্মদ ইব্রাহিম। শেষের দিকে ব্যবধান ৩–০ করেন ইয়াসিন খান।