‘ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডের চেয়ে নিজেকে বড় ভাবছেন রোনালদো’
এভারটনের বিপক্ষে ক্লাব ফুটবলে ৭০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সে মাইলফলকে দৃশ্যপটেরও পরিবর্তন হয়েছিল অনেকটা।
অনেকেই ভেবেছিলেন, এই বুঝি মৌসুমজুড়ে বাজে সময় কাটানো রোনালদো স্বরূপে ফিরলেন, ঘুরে দাঁড়ালেন। তবে তেমন কিছু হয়নি। মাঠ ও মাঠের বাইরে রোনালদোর বাজে সময়ও কাটেনি।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সর্বশেষ ম্যাচে টটেনহামের বিপক্ষে অষ্টমবারের মতো ইউনাইটেডের শুরুর একাদশে উপেক্ষিত থেকেছেন পর্তুগিজ তারকা। যে কারণে ক্ষুব্ধ রোনালদো খেলা শেষ হওয়ার আগেই মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গেছেন।
রোনালদোর এমন কাণ্ড অনেকেই ভালোভাবে নেননি। খেলা শেষ হওয়ার আগেই মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়া ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জন্যই লজ্জাজনক বলে মনে করছেন ম্যানচেস্টার সিটির সাবেক ফুটবলার ড্যানি মিলস।
স্কাই স্পোর্টসকে তিনি বলেছেন, ‘এটা একেবারেই একটা লজ্জাজনক ঘটনা। আমি মনে করি, এমন ঘটনা পুরো দল, ম্যানেজার ও সমর্থকদের জন্য অসম্মানজনক।’
ওল্ড ট্রাফোর্ডে টটেনহামের বিপক্ষে সম্ভবত মৌসুমের সবচেয়ে সেরা ফুটবলটাই খেলছিল ইউনাইটেড। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আধিপত্য দেখিয়ে খেলেছেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ, মার্কাস রাশফোর্ড, ফ্রেদরা। এমন দাপুটে ফুটবলের ফলটাও পেয়েছে এরিক টেন হাগের দল, জয় এসেছে ২-০ গোলে।
প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ এক ক্লাবের বিপক্ষে দলের সাফল্যের পরও রোনালদোর এমন কাজে তাঁকে স্বার্থপর বলছেন মিলস। পর্তুগিজ এ তারকা নিজেকে ক্লাবের চেয়ে বড় ভাবেন বলেই এমনটা করেছেন বলেও মনে করছেন সাবেক এ ফুটবলার, ‘রোনালদো স্বার্থপরের মতো কাজ করেছে। ইউনাইটেড ম্যাচটি জিতেছে ২-০ গোলে। এরপরও রোনালদোর এমন কী অভিযোগ থাকতে পারে? যদি তারা ২-০ গোলে হারত, তখনো এই কাজটা ঠিক হতো না, তবে হয়তো একটা ব্যাখ্যা থাকত। সে স্পষ্টভাবেই নিজেকে ক্লাবের চেয়ে বড় ভাবছেন।’
ম্যাচ শেষে এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন টেন হাগ। টেন হাগ স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছিলেন আপাতত তাঁর কাজ রোনালদোর দিকে না দিয়ে পুরো ক্লাবের দিকে মনোযোগ দেওয়া, ‘এ বিষয়টিতে আমি আজ মনোযোগ দিতে চাই না। আগামীকাল দেখব। আমি এখন আমার পুরো দলের দিকেই মনোযোগটা রাখতে চাই।’
এর আগে জুলাইয়ে রায়ো ভায়েকানোর বিপক্ষে প্রাক্-মৌসুম প্রীতি ম্যাচেও খেলা শেষ হওয়ার আগেই মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন রোনালদো।