২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

এমবাপ্পে–ভিনিসিয়ুসদের অধিনায়ক হয়ে রিয়ালেই মদরিচ

রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর পর লুকা মদরিচকে স্মারক জার্সি তুলে দেন ক্লাব সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজছবি: রিয়াল মাদ্রিদ ওয়েবসাইট

লুকা মদরিচের সঙ্গে আরও এক বছরের চুক্তি নবায়ন করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ২০২৪–২৫ মৌসুমেও ক্রোয়াট অধিনায়ক বার্নাব্যুতে থাকবেন বলে নিশ্চিত করেছে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা। এ নিয়ে ১২ বছর পার করে রিয়ালে ১৩তম মৌসুম কাটাতে চলেছেন মদরিচ।

৩৮ বছর বয়সী তারকারকে রিয়ালের নতুন অধিনায়কও করা হয়েছে। তার মানে, আগামী মৌসুমে কিলিয়ান এমবাপ্পে–ভিনিসিয়ুস জুনিয়ররা মদরিচের নেতৃত্বে খেলবেন।

রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ৬টি চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ৪টি লা লিগা জেতা মদরিচ গত মৌসুমে খুব বেশি সময় খেলার সুযোগ পাননি। লিগে ১৪ ম্যাচেই মাঠে নেমেছেন বদলি হিসেবে। তবে যেটুকু সময় মাঠে কাটিয়েছেন, তাতে রিয়ালের মতো দলে নিজের উপযোগিতা প্রমাণ করে গেছেন।

আরও পড়ুন

মদরিচের চুক্তি নবায়নের ব্যাপারে এক বিবৃতিতে রিয়াল মাদ্রিদ লিখেছে, ‘আমরা আমাদের (নতুন) অধিনায়কের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাপারে সম্মত হয়েছি। তিনি ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ক্লাবের সঙ্গে থাকছেন।’ মদরিচ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘বিশ্বের সেরা ক্লাবের হয়ে খেলা চালিয়ে যেতে পেরে আনন্দিত।’

চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে মাদ্রিদে ফেরার পর গত ২ জুন সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মদরিচ বলেছিলেন, ‘সামনের মৌসুমেও দেখা হবে।’

দলও যে অভিজ্ঞ এই মিডফিল্ডারকে আরও এক মৌসুম দলে পেতে চায়, সেটি স্পষ্ট করেন কোচ কার্লো আনচেলত্তিও, ‘মদরিচের সঙ্গে আমার কখনোই কোনো সমস্যা হয়নি। খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বসেরাদের অন্যতম তো বটেই, মানুষ হিসেবেও সে চমৎকার। আমাদের সমস্যা হয়নি, হবেও না।’

এই কথাগুলোতেই মদরিচের রিয়ালে থেকে যাওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল। আজ সেটাই সত্যি হলো।

২০০৮ সালে ক্রোয়েশিয়ার ক্লাব দিনামো জাগরেব থেকে টটেনহামে যোগ দেন মদরিচ। সেখান থেকে ২০১২ সালে নাম লেখান রিয়াল মাদ্রিদে। স্প্যানিশ ক্লাবটিতে এক যুগের ক্যারিয়ারে তিনি জিতেছেন ২৬টি ট্রফি। ২০১৮ সালে জিতেছেন ব্যালন ডি’অরও, যা লিওনেল মেসি–ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দাপটের মধ্যে কোনো খেলোয়াড়ের প্রথম।

গত বছর সৌদি প্রো লিগ থেকে বড় অঙ্কের অর্থে খেলার প্রস্তাব পেয়েছিলেন মদরিচ। তবে মাদ্রিদেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।