নেইমার জানালেন, কোচের ছাঁটাই চাওয়ার খবরটি ভুয়া
আল হিলালে যোগ দিয়ে এখন পর্যন্ত মাত্র ৩ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন নেইমার। এই তিন ম্যাচে ২টি ‘অ্যাসিস্ট’(গোল করানো) করলেও পাননি গোলের দেখা। মাঠের পারফরম্যান্সে এখনো নিজেকে মেলে ধরতে না পারলেও এরই মধ্যে জড়িয়েছেন বিতর্কে। কোচের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে যাওয়ার খবরও সামনে এসেছে। সংবাদমাধ্যমে এমন গুঞ্জনও উঠেছিল, নেইমার নাকি আল হিলাল কোচ হোর্হে জেসুসকে ছাঁটাইয়ের দাবি তুলেছেন!
কিন্তু খবরটি মিথ্যা দাবি করে নিজের ইনস্টাগ্রামে নেইমার লিখেছেন, ‘মিথ্যা। আপনাদের এগুলো বিশ্বাস করা থামাতে হবে। এমন সব পেজ যেখানে লাখ লাখ অনুসারী, সেখানে মিথ্যা খবর প্রকাশ করা অনুচিত। দয়া করে এগুলো বন্ধ করুন।’
অথচ সংবাদমাধ্যম গুঞ্জন ছড়িয়েছিল, নেইমারের সঙ্গে তাঁর ক্লাবের কোচের বিরোধের সূত্রপাত এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে উজবেকিস্তানের ক্লাব নাভবাহোরের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে। সেদিন নেইমারের পারফরম্যান্সে খুশি হতে পারেননি কোচ জেসুস। এ নিয়ে নাকি দ্বন্দ্বেও জড়িয়ে পড়েন গুরু–শিষ্য। নেইমারের কোচ ছাঁটাইয়ের দাবির খবরটি সামনে এনেছিল স্প্যানিশ সংবাদ মুন্দো দেপোর্তিভো। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছিল, নেইমার পারফরম্যান্সে অসন্তুষ্ট হয়ে তাঁর সমালোচনা করায় দুজনের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। যে কারণে এখন কোচকে আর ডাগআউটে দেখতে চান না নেইমার।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছিল, ক্লাব পরিচালকেরা এরই মধ্যে জেসুসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং অদূর ভবিষ্যতে পারফরম্যান্সের উন্নতি না হলে তাঁকে ছাঁটাই করার হুমকিও দিয়েছে।
এর আগে পিএসজিতেও ভালো ছিলেন না নেইমার। সেখানেও একাধিকবার কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে তাঁর বিরোধে জড়ানোর খবর সামনে এসেছিল। যে কারণে শেষ পর্যন্ত ক্লাবটি ছাড়তে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু নতুন ঠিকানায় এসেও স্বস্তিতে বিশ্বের সবর্কালের দামি এ খেলোয়াড়। অভিষেকের কয়েক দিনের মধ্যে কোচের সঙ্গেই জড়িয়ে পড়লেন দ্বন্দ্বে। এখন শেষ পর্যন্ত এই বিরোধ কোথায় ঠেকে, সেটিই দেখার অপেক্ষা।
এর আগে দুই বছরের চুক্তিতে আল হিলালে যোগ দেওয়ার পর নেইমার বলেছিলেন, ‘আমি খেলার নতুন একটি ইতিহাস লিখতে চাই। সৌদি প্রো লিগে এখন অসাধারণ প্রাণশক্তিসম্পন্ন এবং মানসম্মত খেলোয়াড় আছে। আমি জিততে এবং গোল করতে ভালোবাসি। আল হিলালের হয়ে সৌদি আরবেও আমি এটা করে যেতে চাই।’
তবে বড় খবর দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান সাংবাদিক আদেমির কুইন্তিনো। তিনি বলেছেন, নেইমার আল হিলাল ছেড়ে সান্তোসে ফিরতে চান। সেখানে খেলে তিনি ২০২৬ সালের জন্য প্রস্তুতি নিতে চান। কুইন্তিনো বলেছেন, ‘নেইমার সিনিয়র এবং নেইমার জুনিয়রের এক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেছেন, নেইমার চার বছরের বদলে দুই বছরের চুক্তি করেছে। কারণ, বিশ্বকাপের এক বছর আগে সে সান্তোসে ফিরে আসতে চায়। নেইমার সান্তোসকে এসব কথা জানিয়েছে এবং ফিরে আসার কথা বলেছে। নেইমারের এক বন্ধু যে কিনা আমারও বন্ধু, সে আমাকে বলেছে, নেইমারের সান্তোসে ফিরে আসতে চায়।’