বিশ্বকাপে রেফারিদের আয় কেমন

আর্জেন্টিনা–নেদারল্যান্ডস ম্যাচের রেফারি অ্যান্তনিও মাতেও লাহোজরয়টার্স

বিভিন্ন ফেডারেশনের সেরা রেফারিদের বিশ্বকাপে এনেছে ফিফা। ফাইনালের আগপর্যন্ত বেশ কিছু ম্যাচে রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন লিওনেল মেসি–লুকা মদরিচসহ অনেকে। তবু বেশির ভাগ ম্যাচ ভালোভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার পেছনে রেফারিদের অবদান কিন্তু কম নয়। ম্যাচ ভালোভাবে পরিচালনা না করলে খেলা দেখার মজাটাই তো শেষ হয়ে যায়। রেফারিদের এই যে অবদান, এর বিনিময়ে তাঁদের প্রাপ্তি কী?

এই বিশ্বকাপে ম্যাচ পরিচালনা করে কতই-বা আয় করছেন রেফারিরা?

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এএস জানিয়েছে, বিশ্বকাপের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রতিটি রেফারিকে ৭০ হাজার ডলার করে ‘মৌলিক ভাতা’ দিয়েছে ফিফা। ২০১৮ বিশ্বকাপ থেকে সিদ্ধান্তটি কার্যকর হয়েছে। সহকারী রেফারিদের জন্যও আছে মৌলিক ভাতা—এবারই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে তালিকাভুক্ত হওয়ার ‘মৌলিক ভাতা’ হিসেবে প্রত্যেক সহকারী রেফারিকে ২৫ হাজার ডলার করে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

চ্যাম্পিয়নস লিগে রেফারিং করে একজন ম্যাচ–অফিশিয়াল যত আয় করেন, বিশ্বকাপে আয় তার তিন গুণ। প্রতিটি ম্যাচ পরিচালনার জন্য আছে আলাদা ভাতা। একজন ম্যাচ রেফারি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে ম্যাচ পরিচালনা করে তিন হাজার ডলার আয় করেন। প্লে অফ কিংবা ফাইনালে ম্যাচ পরিচালনা করে পান ১০ হাজার ডলার।

রেফারিরা ফিফার সঙ্গে চুক্তি থেকে যে অর্থ আয় করেন, তার সঙ্গে ম্যাচ পরিচালনার অর্থ যোগ হয়। একজন ম্যাচ রেফারি ফাইনালসহ তাঁর জন্য বরাদ্দ করা সব ম্যাচ সফলতার সঙ্গে পরিচালনা করতে পারলে টুর্নামেন্ট থেকে সর্বোচ্চ তিন লাখ ডলার আয় করতে পারেন।

ঘানার আবুবকরকে হলুদ কার্ড দেখানোর পর লাল কার্ড দেখান রেফারি
ছবি: রয়টার্স

ম্যাচ রেফারির সহযোগী হিসেবে মাঠে দুটি টাচলাইনের দুই পাশে থাকেন সহকারী রেফারি। সাধারণত অফসাইড, ফাউল—এসব খেয়াল করেন তাঁরা। গ্রুপ পর্বে প্রতিটি ম্যাচের জন্য আড়াই হাজার ডলার পেয়ে থাকেন সহকারী রেফারি। প্লে অফ কিংবা ফাইনালে পান পাঁচ হাজার ডলার। সব ম্যাচ ভালোভাবে পরিচালনা করে একজন সহকারী রেফারি টুর্নামেন্ট থেকে দেড় লাখ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন।
চতুর্থ অফিশিয়াল ম্যাচে বদলি খেলোয়াড় নামানো তদারকি করেন। ম্যাচে বল পাল্টানোর বিষয়টিও দেখাশোনা করেন তাঁরা।

আরও পড়ুন

সহকারী রেফারি গ্রুপ পর্বে ও ফাইনালের ম্যাচ পরিচালনা করে যে পরিমাণ অর্থ পান, চতুর্থ অফিশিয়ালকেও সমপরিমাণ অর্থ দেয় ফিফা। সহকারী রেফারির মতো চতুর্থ অফিশিয়ালও গোটা টুর্নামেন্ট থেকে সর্বোচ্চ দেড় লাখ ডলার আয় করতে পারেন।

ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) দায়িত্বে যাঁরা থাকেন, ম্যাচপ্রতি তাঁদের আয় তিন হাজার ডলার করে। টুর্নামেন্টের পরের ধাপগুলোয় তাঁরা ম্যাচপ্রতি পেয়ে থাকেন পাঁচ হাজার ডলার। সব মিলিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে তাঁরা সর্বোচ্চ ১ লাখ ৭৫ হাজার ডলারের মতো আয় করতে পারেন।