রিয়াল মাদ্রিদের ওয়েবসাইটেই কথাটি লেখা আছে, ‘দ্য বিবিসি: অ্যা সিম্ফনি অব গোলস।’ ক্লাবের নাম শুনেই বুঝে ফেলার কথা কাদের কথা বলা হচ্ছে—করিম বেনজেমা, গ্যারেথ বেল ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। রিয়ালের আক্রমণভাগে এই ত্রিরত্নকে একসঙ্গে ‘বিবিসি’ বলা হতো। ২০১৮ সালে রোনালদো রিয়াল ছাড়ার পর ভেঙে যায় এই ‘ত্রিফলা’ জুটি। তার আগে ২০১৩ সালে একসঙ্গে অভিযান শুরু করে পাঁচ মৌসুমে ৪৪২ গোল করেছিলেন তাঁরা।
রোনালদো এই পাঁচ মৌসুমে নিজে করেছিলেন ২৪৯ গোল। আক্রমণভাগে তাঁর দুই সহযোদ্ধা গোল করার পাশাপাশি রোনালদোকে গোল করার সুযোগও তৈরি করে দিয়েছেন। বেল উইং চিরে দৌড়ে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের ঝামেলায় ফেলতেন আর বেনজেমা বক্সে ব্যতিব্যস্ত রাখতেন তাদের। ফেলে আসা সেসব দিনে রোনালদোকে কেমন দেখেছেন, তা নিয়ে ইন্টারনেট ব্যক্তিত্ব মার্টিন বোরমেইয়ারের ইউটিউব চ্যানেলে কথা বলেছেন ওয়েলশের সাবেক ফুটবলার বেল।
গত বছর জানুয়ারিতে অবসর নেওয়া বেল রিয়ালের হয়ে জিতেছেন পাঁচটি চ্যাম্পিয়নস লিগ, তিনটি লা লিগা শিরোপা। গলফপ্রিয় বেল এখন সময় কাটাচ্ছেন বিএমডব্লিউ ওপেন ইন্টারন্যাশনাল প্রো গলফ টুর্নামেন্টে। সেখানেই কথা বলেছেন মার্টিন বোরমেইয়ারের সঙ্গে।
ড্রেসিংরুমে রোনালদোর সঙ্গে সময়টা ভাগাভাগি করতে কেমন লেগেছে, এই প্রশ্নের উত্তরে ৩৩ বছর বয়সী বেল বলেছেন, ‘সে ভালোই ছিল। নিজের সময়টা উপভোগ করেছে।’ এরপর একটি উদাহরণ দেন বেল, ‘ধরুন, আমরা (রিয়াল মাদ্রিদ) ৫-০ গোলে জিতলাম, কিন্তু সে গোল পেল না, এরপর (ড্রেসিংরুমে) ফিরে সে এমনভাবে বুট ছুড়ে মারবে, যেন রাগ করেছে। বিষয়টি এমন যে দল রাইডার কাপ (গলফ টুর্নামেন্ট) জিতেছে, কিন্তু আপনি পয়েন্ট এনে দিতে পারেননি, তাই নিজের ওপরই ক্ষুব্ধ। সব মিলিয়ে সে মানুষটা ভালোই। আমাদের মধ্যে কখনো সমস্যা হয়নি।’
বেলের কাছে এরপর জানতে চাওয়া হয়েছিল পাঁচবার ব্যালন ডি’অরজয়ী এই ফুটবলার ব্যক্তিগত পুরস্কার জয়ের জন্য রিয়ালে তাঁর সতীর্থদের কখনো ধন্যবাদ দিয়েছেন কি না? বেল শুরুতে বলেছেন, ‘আমি ঠিক জানি না...আমার মনে হয় দিয়েছে, কিন্তু...।’ এরপর ক্যামেরা তাঁর প্রতি তাক করতেই বলেছেন, ‘হ্যাঁ ধন্যবাদ জানিয়েছে।’