নেইমারের লাল কার্ডের রাতে ‘নায়ক’ এমবাপ্পে
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ব্রাজিলের বিদায়ে কেঁদেছিলেন নেইমার। সেই শোক ভুলে কাল রাতে মাঠে ফিরেছেন পিএসজির জার্সিতে। সবকিছু ভালোভাবেই এগোচ্ছিল। ১৪ মিনিটে দারুণ এক পাসে মারকিনিওসকে দিয়ে গোল করিয়েছেন। স্ত্রাসবুর্গের ডিফেন্ডারদের নিয়ে খেলেছেন। তাঁর ‘নাটমেগ’-এর জবাব ছিল না পয়েন্ট টেবিলে ১৯তম দলটির ডিফেন্ডারদের কাছে। কিন্তু ম্যাচের ৬১ মিনিট থেকে নেইমারের জন্য সবকিছু দুঃস্বপ্নে পরিণত হতে থাকে। অবশ্য সে জন্য দায়টা তাঁর নিজেরই।
স্ত্রাসবুর্গের ডিফেন্ডার আদ্রিয়ান থমাসনের মুখে ৬১ মিনিটে হাত দিয়ে আঘাত করে প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন নেইমার। পরের মিনিটেই বাঁ প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢোকার সময় তাঁকে বাধা দেন স্ত্রাসবুর্গ ডিফেন্ডার। পেনাল্টি আদায় করতে চালাকি করেন নেইমার। ডাইভ দিয়ে বসেন। কিন্তু অতি চালাকের গলায় দড়ি—কথাটা সম্ভবত ভুলে গিয়েছিলেন ব্রাজিল তারকা। তাঁর ডাইভ রেফারির চোখ এড়ায়নি। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড মানে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন নেইমারকে।
তবে পিএসজি জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে। আর সেই জয়ের নায়ক কিলিয়ান এমবাপ্পে। যোগ করা সময়ে পেনাল্টি থেকে তাঁর গোলে ২-১ ব্যবধানের জয় তুলে নিয়েছে পিএসজি।
লাল কার্ড দেখে নেইমার মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি। রেফারি ক্লেঁম টারপিনের দিকে তেড়ে গিয়ে চোখে চোখ রেখে প্রতিবাদ জানান। লাভ হয়নি। ২০১৭ সালে পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পর এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো লাল কার্ড দেখলেন নেইমার। রোববার টেবিলে দ্বিতীয় দল লাঁসের বিপক্ষে খেলতে পারবেন না। আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপজয়ী লিওনেল মেসি এখনো পিএসজিতে ফেরেননি।
নেইমারের পাস থেকে ১৪ মিনিটে হেডে করা গোলে পিএসজিকে এগিয়ে দেন মারকিনিওস। বিরতির পর মারিকিনিওসই স্ত্রাসবুর্গকে সমতায় ফেরান! আত্মঘাতী গোল করেন ব্রাজিলিয়ান এই ডিফেন্ডার। আদ্রিয়ান থমাসনের ক্রস ‘ক্লিয়ার’ করতে গিয়ে বল নিজেদের জালেই জড়িয়েছেন।
প্রথমার্ধে গোলের দারুণ দুটি সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি এমবাপ্পে। বিরতির পরও সুযোগ পেয়েছেন গোলের। শেষ পর্যন্ত ৯৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে পেয়ে যান গোল। স্ত্রাসবুর্গের বক্সে ফাউলের শিকার হন এমবাপ্পে। স্পটকিক থেকে গোল করে পিএসজিকে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট এনে দেন ফরাসি তারকা। ১৬ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষেই রইল পিএসজি। দ্বিতীয় লাঁসের সঙ্গে ৮ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে পিএসজি। ১৫ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে লাঁস।