গোল বাতিল হওয়ার পর ক্ষুব্ধ রোনালদো রেফারিকে যা বলেছিলেন
আগের ম্যাচে আল ফাতেহর বিপক্ষে যেখানে শেষ করেছিলেন, গতকাল রাতে আল শাবাবের বিপক্ষে সেখান থেকেই যেন শুরু করেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ম্যাচের ১২ মিনিটে তাঁর পেনাল্টি গোলেই আল শাবাবের বিপক্ষে এগিয়ে যায় আল নাসর। ১৮ মিনিটে কর্নার থেকে হেডে আবারও প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠান রোনালদো। গোলের পর সতীর্থদের সঙ্গে সেরে নেন ট্রেডমার্ক ‘সিউ’ উদ্যাপনও। কিন্তু এরপরই বাধে বিপত্তি।
রোনালদো হেড নেওয়ার সময় প্রতিপক্ষের দুই খেলোয়াড় পড়ে যাওয়ায় ভিএআরে গোল যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নেন রেফারি। ভিএআরে পরীক্ষার সময় দেখা যায় হেডের জন্য লাফিয়ে ওঠার আগমুহূর্তে রোনালদোর হাতের ধাক্কায় প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড় নিচে পড়ে যান। সে সময় জটলার মধ্যে আল শাবাবের আরও এক খেলোাড়কে নিচে পড়ে যেতে দেখা যায়। ভিএআরে গোল বাতিল করে ফাউলের সিদ্ধান্ত দেন রেফারি।
বলা বাহুল্য, রেফারির এই সিদ্ধান্ত মোটেই পছন্দ হয়নি রোনালদোর। অসন্তুষ্টির ছাপ ছিল তাঁর চোখেমুখে। এমনকি ক্ষুব্ধ রোনালদোকে রাগে গজরাতে গজরাতে কিছু একটা বলতেও শোনা যায়। পরে ভিডিও ক্যামেরায় রোনালদোর সেই কথাও শোনা যায়।
রেফারির উদ্দেশে ক্ষুব্ধ রোনালদো বলেছেন, ‘সব সময় আমার বিপক্ষে কেন (এমন হয়)!’ এ সময় একটি গালিও দিতে শোনা যায় তাঁকে।
রোনালদোর সেই ক্ষোভ অবশ্য পরে আর স্থায়ী হয়নি। ৩৮ মিনিটে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোলটি ঠিকই আদায় করে নেন পর্তুগিজ মহাতারকা। এরপর বিরতির আগে ৪০ মিনিটে সাদিও মানের গোলে সহায়তাও করেন। এমনকি দ্বিতীয়ার্ধে চাইলে হ্যাটট্রিকও পেতে পারতেন। ম্যাচের তৃতীয় পেনাল্টিটা নিজে না নিয়ে সতীর্থ আবু ঘারিবকে নেওয়ার সুযোগ দেন রোনালদো। সেই সুযোগ অবশ্য কাজে লাগাতে পারেননি আবু ঘারিব। ব্যর্থ হন গোল করতে।
ম্যাচ শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোনালদো লিখেছেন, ‘স্টেডিয়ামের কী দুর্দান্ত পরিবেশ। সমর্থকদের সঙ্গে জয় উদ্যাপন করে দারুণ লাগছে। দলের সবাই দারুণ খেলেছে।’