উরুগুয়ে দলে সুয়ারেজ–কাভানি যুগ কি শেষ হয়ে গেল
যা ভাবা হয়েছিল, তা–ই ঘটল। গত মে মাসে উরুগুয়ে কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর কিছুদিন আগে মার্সেলো বিয়েলসা জানিয়েছিলেন, লুইস সুয়ারেজ ও এডিনসন কাভানির সঙ্গে এখনো তাঁর কোনো কথা হয়নি। অথচ সামনেই ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব।
তখনই ভাবা হয়েছিল, উরুগুয়ের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দলে সম্ভবত জায়গা হবে না দুই তারকার। গতকাল বিয়েলসার ঘোষণা করা দলে প্রতিফলন ঘটেছে সেই ভাবনারই। সুয়ারেজ ও কাভানিকে বাদ দিয়েই বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে উরুগুয়ের প্রথম দুই ম্যাচে ২৫ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন আর্জেন্টাইন এই কোচ।
২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে শুক্রবার চিলির মুখোমুখি হবে উরুগুয়ে। এরপর ১২ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় ম্যাচে দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের প্রতিপক্ষ ইকুয়েডর। এ দুটি ম্যাচের জন্য ৩৬ বছর বয়সী সুয়ারেজ ও কাভানিকে দলে বিবেচনা করেননি কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর উরুগুয়ে দল ঢেলে সাজানোর ঘোষণা দেওয়া বিয়েলসা।
কাভানি এখন আর্জেন্টিনার ক্লাব বোকা জুনিয়র্সে খেলছেন। ব্রাজিলের ক্লাব গ্রেমিওতে খেলছেন উরুগুয়ের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা (১৩৭ ম্যাচে ৬৮ গোল) সুয়ারেজ। ১৩৬ ম্যাচে ৫৮ গোল করে এ তালিকার দুইয়ে কাভানি। উরুগুয়ের জার্সিতে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ডেও শীর্ষ তিনে আছেন দুই তারকা।
‘কোচদের কোচ’ হিসেবে খ্যাতি পাওয়া বিয়েলসা চমকে দেওয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্তের জন্য মাঝেমধ্যেই আলোচিত হন। উরুগুয়ের এই স্কোয়াডে যেমন কাভানি-সুয়ারেজকে না রাখলেও ৩০ বছর বয়সী গোলরক্ষক সের্হিও রোচেটকে রেখেছেন বিয়েলসা। এই দুই ম্যাচের জন্য বিয়েলসার ঘোষণা করা স্কোয়াডে সের্হিও রোচেটই সবচেয়ে বেশি বয়সী।
কাভানি-সুয়ারেজ যেহেতু নেই, তাই উরুগুয়ের আক্রমণভাগে নেতৃত্ব দেবেন দারউইন নুনিয়েজ। ২০১০ থেকে ২০২২ সময়ের মধ্যে চারটি বিশ্বকাপ খেলেছেন সুয়ারেজ ও কাভানি। এ বছর গ্রেমিওর হয়ে একেবারে বাজে ফর্মে ছিলেন না লুইস সুয়ারেজ। ১৫ গোল করেছেন। বোকা জুনিয়র্সে যোগ দেওয়ার পর ৫ ম্যাচে এ পর্যন্ত ১ গোল করেছেন কাভানি।
বিয়েলসার স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ার পর ‘ইএসপিএন ব্রাজিল’–এর অনুষ্ঠান ‘বোলা দা ভেজ’–এ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সুয়ারেজ। বার্সেলোনার হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও লা লিগাজয়ী সুয়ারেজ সেখানে বলেছেন, ‘তিনি (বিয়েলসা) আমাকে ফোন করেননি। না কোচ না ফেডারেশন—কেউ কোনো যোগাযোগ করেনি।’
সুয়ারেজের কথায় বোঝা যায়, বিয়েলসার স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়ার আশায় ছিলেন, ‘ব্রাজিলে আসার পর ভাবতে পারেন, আমাকে এখনো হয়তো যোগ্যতার পরীক্ষা দিতে হবে। আমি শান্তই আছি। কারণ, এখনো অনেক কিছু দিতে পারি, সেটা বোঝানোর মতো পারফরম্যান্সই করছি।’