৪ গোল খেয়ে গার্দিওলা বললেন, ‘ব্রাজিল আমাকে কোচ হিসেবে বিবেচনা করবে না’
এমন কিছু সচরাচর ঘটে না, ঘটনাটা ঠিক স্বাভাবিকও নয়। সাম্প্রতিক সময়ে ম্যানচেস্টার সিটির হার দেখাটা সত্যিকার অর্থেই পরিণত হয়েছিল অতিপ্রাকৃত কোনো বিষয়ে। তা–ও হুটহাট এক–দুটি হার মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু তাই বলে টানা তিন হার!
প্রথম দেখায় এমন কিছু সত্যি মনে না–ও হতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এই অস্বাভাবিক ঘটনাটাই ঘটেছে এবার।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা তিন ম্যাচে হারল সিটি। সর্বশেষ গতকাল রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগে স্পোর্তিং লিসবনের বিপক্ষে সিটি উড়ে গেছে ৪–১ গোলে। ২০১৮ সালের এপ্রিলের পর আর কখনো টানা তিন ম্যাচে হারেনি তারা। এমন হারের পর ইউরোপিয়ান ফুটবলে সিটির আধিপত্যে ধস নেমেছে কি না, সেই প্রশ্নও সামনে এসেছে।
সিটির জন্য মৌসুমের শুরুতে বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে একের পর এক চোট। ব্যালন ডি’অরজয়ী রদ্রিসহ বেশ কয়েকজন তারকাকে শুরুতেই হারিয়ে ফেলে তারা। মৌসুমের শুরুতে পাওয়া এই ধাক্কা নিয়ে গার্দিওলা বলেছিলেন, ‘গত ৯ বছরের মধ্যে এমন পরিস্থিতিতে আমরা আর পড়িনি।’
সেই সমস্যা আসলে কত বড়, সেটা সিটির সর্বশেষ তিন ম্যাচের ফলের দিকে তাকালেই স্পষ্ট। প্রথমে কারাবাও কাপে টটেনহামের বিপক্ষে ২–১ গোলের হেরে বিদায়। এরপর প্রিমিয়ার লিগে একই ব্যবধানে সিটি হেরেছে বোর্নমাউথের বিপক্ষে। তবে গতকাল রাতের হারটা বাকি সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে। স্পোর্তিংয়ের কাছে হেরেছে ৪–১ গোলে।
রুবেন আমোরিমের পতুর্গিজ ক্লাবের বিপক্ষে পাত্তাই পায়নি সিটি। এই হারের পর দলের বর্তমান অবস্থাসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন গার্দিওলা। যেখানে সিটি কোচ কথা বলেছেন তাঁর ব্রাজিল দলের কোচ হওয়ার সম্ভাবনা নিয়েও।
বিষয়টি নিয়ে গর্দিওলা বলেছেন, ‘৪–১ গোলে হারের পর ব্রাজিল আমাকে আর (কোচ হিসেবে) বিবেচনা করবে না। তবে অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় আমি এখন সিটিকে ওপরে তুলতে চাই এবং দলটিকে শীর্ষ স্তরে নিয়ে যেতে চাই।’
হাল না ছাড়ার কথা জানিয়ে গার্দিওলা আরও বলেছেন, ‘আমি হাল ছাড়ব না। চ্যালেঞ্জটা মোকাবিলা করে খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস বাড়াব। ফলের দিক থেকে এই সময়টা কঠিন। কিন্তু আমি এখানে থাকতে চাই এবং লড়াই করতে চাই। কোচ হিসেবে এই চ্যালেঞ্জ আমি পছন্দ করি।’
প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এমন সমস্যা? এ সমস্যার সমাধান কী। সিটি মিডফিল্ডার বের্নার্দো সিলভা অবশ্য হতাশার কথাই শুনিয়েছেন, ‘এটা হতাশাজনক। সব কিছু ভুল পথে এগোচ্ছে।’ ভুল পথটাকে ঠিক পথে আনার চ্যালেঞ্জ এখন গার্দিওলার সামনে। এ চ্যালেঞ্জ অতিক্রমে গার্দিওলার সক্ষমতার ওপরই নির্ভর করছে সিটির সাফল্য ও ব্যর্থতা।