মেসির ইন্টার মায়ামি এবার বাজির দরে সবার ওপরে
লিওনেল মেসির কারণে বদলে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের খেলার জগৎ। তাঁর হাত ধরেই সকার এখন পরিণত হয়েছে ফুটবলে। মাত্র ছয় মাসে দেশটিতে ফুটবলের জনপ্রিয়তা বেড়ে এখন আকাশছোঁয়া। মেসির যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ায় যে ক্লাবটি সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে, সেটি ইন্টার মায়ামি।
গত জুনে পিএসজি থেকে মেসিকে নিয়ে আসে ডেভিড বেকহামের মালিকানাধীন ক্লাবটি। মেসি আসার পর ইন্টার মায়ামিও এখন বদলে যাওয়া এক দল। শুধু অবশ্য মেসিই নন, তাঁর পথ ধরে গত মৌসুমে এসেছেন জর্দি আলবা ও সের্হিও বুসকেতসও। আর এবার দেখা যাবে মেসির পুরোনো সতীর্থ ও বন্ধু লুইস সুয়ারেজকেও।
মেসির হাত ধরেই নিজেদের ইতিহাসের প্রথম শিরোপা (লিগস কাপ) জেতে মায়ামি। এরপর ইউএস ওপেন কাপের ফাইনালেও ওঠে ক্লাবটি। যদিও সেই শিরোপা জেতা হয়নি। অন্য দিকে মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) মেসি আসার আগেই বেশ পিছিয়ে গিয়েছিল ইন্টার মায়ামি। এরপরও চেষ্টা করেছিলেন দলকে প্লে অফে তুলতে। কিন্তু শেষ দিকে চোটের কারণে আর পেরে ওঠেননি।
ইন্টার মায়ামি শেষ পর্যন্ত মৌসুম শেষ করে ইস্টার্ন কনফারেন্সে ১৪ নম্বরে (দুই কনফারেন্স মিলিয়ে ২৭ নম্বরে) থেকে। এমএলএসে ইন্টার মায়ামির এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সাফল্য ২০২২ সালে ইন্টার কনফারেন্সে ছয় নম্বরে থেকে (দুই কনফারেন্স মিলিয়ে ১২ নম্বর) শেষ করা। প্রথম দফায় না পারলেও এবার শুরু থেকেই মায়ামির হয়ে মাঠে থাকবেন মেসি। আর মেসির প্রভাবে এবার বাজির দরেও বাকিদের চেয়ে অনেক এগিয়ে গেছে ইন্টার মায়ামি।
ফক্স সকারের দেওয়া তালিকায় দেখা গেছে, এবার ইন্টার মায়ামি মৌসুম শুরু করবে +২০০ নিয়ে। অর্থাৎ কেউ যদি এই ক্লাব নিয়ে ১০০ টাকা বাজি ধরে, তবে ক্লাবটি জিতলে সেই ব্যক্তি ৩০০ টাকা পাবে (১০০ টাকা মূলধন+ ২০০ টাকা লাভ)। ফলে সম্ভাবনার নিরিখে ইন্টার মায়ামির শিরোপা জেতার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
অথচ মেসি আসার আগে গত মৌসুমের শুরুতে ইন্টার মায়ামির বাজির দর ছিল +১৮০০। এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি, যাদের বাজির দর +৮০০। এ তালিকায় +১২০০ নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে কলোম্বাস ক্রু ও এফসি সিনসিনাটি।