তবে কি শেষ হতে যাচ্ছে কিলিয়ান এমবাপ্পের পিএসজি–অধ্যায়?
আপাতত সেই সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে। ২৪ বছর বয়সী ফুটবলার নাকি পিএসজির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে চান না। সেটা না করলে তাঁকেও আর রেখে দিতে চায় না পিএসজি। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই, সম্ভব হলে এই গ্রীষ্মকালীন দলবদলেই তারকা ফরোয়ার্ডকে চড়া দামে বিক্রি করে দিতে চায় প্যারিসের ক্লাবটি।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম লেকিপ এ ‘বোমা’ ফাটিয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, রিলিজ ক্লজ হিসেবে পিএসজির চাওয়া ১৫ কোটি ইউরো, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১ হাজার ৭৫৩ কোটি ৬২ লাখ টাকার বেশি।
অবিশ্বাস্য সব বেতন-বোনাস, সঙ্গে বিরল সব শর্ত দিয়ে এমবাপ্পেকে দলে রাখা পিএসজি হঠাৎ কেন তাঁকে ছাড়তে চাইছে? এমবাপ্পের সঙ্গে পিএসজির চুক্তি ছিল মূলত দুই বছরের। সেখানে একটি শর্ত ছিল, এমবাপ্পে চাইলে চুক্তিটা আরও এক বছরের জন্য বাড়াতে পারবেন। তবে সেই শর্ত এমবাপ্পেকে সক্রিয় করতে হবে এ বছরের জুলাইয়ের মধ্যে। তবে একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এমবাপ্পে পিএসজির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে রাজি নন।
এ কথা ক্লাবকে আগেভাগে জানিয়ে একটা আনুষ্ঠানিক চিঠিও দিয়েছেন এমবাপ্পে। সে কারণে আগামী মৌসুমের পরই ফ্রি এজেন্ট (মুক্ত খেলোয়াড়) হয়ে যাবেন এই ফরাসি তারকা। তবে লেকিপ আরও জানিয়েছে, এমবাপ্পেকে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে ছাড়তে রাজি নন পিএসজি চেয়ারম্যান নাসের আল খেলাইফি। সে কারণেই মূলত এই মৌসুমে এমবাপ্পেকে ছাড়তে পারে পিএসজি।
বড় বড় তারকা নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে ব্যর্থ হওয়ায় পিএসজি নতুন কৌশলে হাঁটতে চাইছে। পিএসজির পরবর্তী প্রকল্পের কেন্দ্রে কোনো তারকা নয়, থাকবে ফরাসি নতুন প্রতিভাবান ফুটবলাররা।
এই মৌসুমে তাহলে এমবাপ্পেকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিয়ে কিনতে পারে কোন ক্লাব? উত্তরটা সহজ—রিয়াল মাদ্রিদ। এর আগে রিয়ালের ২২ কোটি ইউরোর (২ হাজার ৫৭০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা) প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন এমবাপ্পে। তাঁকে কেনা নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়ার পরও আগ্রহী রিয়াল।
কয়েক দিন আগে এক সমর্থকের প্রশ্নের জবাবে রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ জানিয়েছিলেন, এমবাপ্পেকে রিয়াল কিনতে চায়, তবে এ মৌসুমে নয়। তবে তখনো এমবাপ্পেকে পিএসজির ছেড়ে দেওয়ার এই গুঞ্জন শোনা যায়নি।
এমবাপ্পেকে যদি পিএসজি ছেড়েই দেয়, তাহলে রিয়াল মাদ্রিদ কি এই মৌসুমেই ফরাসি তারকাকে কিনতে আগ্রহ দেখাবে? দেখাতেও পারে। ১৪ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে কদিন আগেই রিয়াল ছেড়েছেন আরেক ফরাসি তারকা করিম বেনজেমা। তাঁর শূন্যস্থান পূরণের জন্য একজন ফরোয়ার্ড প্রয়োজন রিয়ালের। সেই ফরোয়ার্ড যদি হন এমবাপ্পে, তাহলে তো কোনো কথাই নেই। তবে সে জন্য রিয়ালের অবশ্য কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ খরচ করতে হবে।