রিয়ালের হোটেলের পাশে গভীর রাতে আতশবাজি ফুটিয়ে ‘অতিথিসেবা’ লিভারপুল সমর্থকদের
চ্যাম্পিয়নস লিগে আজ রাতে মুখোমুখি রিয়াল মাদ্রিদ ও লিভারপুল। অ্যানফিল্ডে বাংলাদেশ সময় আজ রাত দুইটায় শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল। এ ম্যাচে লিভারপুলের মাঠে ডাগআউটে মাথাব্যথা নিয়ে পা রাখতে পারেন রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি। কিংবা ভালো ঘুম না হলে অন্য যেসব উপসর্গ দেখা দেয়, সেসব সমস্যায় ভুগতে পারেন রিয়াল কোচ। কারণটা আর কিছুই নয়, লিভারপুল সমর্থকদের ‘অতিথিপরায়ণতা’।
স্পেনের রেডিও ‘কোপ’ ও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘মেইল অনলাইন’ জানিয়েছে, মার্সেসাইডে রিয়াল মাদ্রিদ দল যে হোটেলে উঠেছে, সেখানে হোটেলের বাইরে গভীর রাত পর্যন্ত অগ্নি প্রজ্বালন, আতশবাজি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন লিভারপুলের সমর্থকেরা। শেষ ষোলোর প্রথম লেগের এ ম্যাচ খেলতে সোমবার লিভারপুলে পা রেখেছে আনচেলত্তির দল। উঠেছে সে অঞ্চলের ইনসাইড লিভারপুল হোটেলে।
প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়েরা যেন ম্যাচের আগের রাতে শান্তিমতো ঘুমাতে না পারেন, যেন ফুরফুরে মেজাজে মাঠে নামতে না পারেন, সে জন্যই হোটেলের বাইরে আতশবাজি ও বাজি-পটকা ফুটিয়েছেন লিভারপুলের সমর্থকেরা। মেইল অনলাইন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও নিজেদের প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে।
সেখানে দেখা যায়, হোটেলের পাশেই আতশবাজির আলো ও শব্দে প্রকম্পিত চারপাশ। রাত দুইটার সময় এমন কিছু ঘটলে তো ঘুমানোই দায়! প্রায় আধা মিনিটের মতো সেই আতশবাজি প্রদর্শনীতে নিশ্চিতভাবেই রাতের ঘুম ভেঙেছে রিয়ালের খেলোয়াড়দের।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে লিভারপুলের সমর্থকদের এভাবে ‘মাঠে’ নেমে যাওয়া নতুন কিছু নয়। দল অন্তঃপ্রাণ এসব সমর্থক ২০১৯ সালে বার্সেলোনাকেও ভুগিয়েছেন। সেবার চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সা খেলতে গিয়েছিল অ্যানফিল্ডে। ৪-০ গোলে লিভারপুলের কাছে হারের আগের রাতে ইংলিশ ক্লাবটির সমর্থকদের কাছ থেকে এমন ‘অতিথিসেবা’ই পেয়েছিল কাতালান ক্লাবটি।
রিয়ালের খেলোয়াড়েরা কতটা অসুবিধায় পড়েছেন, তা জানা যায়নি। তবে মাঠে সাম্প্রতিক সময়টা কিন্তু তেমন ভালো যাচ্ছে না আনচেলত্তির দলের। লা লিগা টেবিলে শীর্ষস্থানীয় বার্সার সঙ্গে ৮ পয়েন্ট ব্যবধানে পিছিয়ে রিয়াল। যদিও সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ চার ম্যাচই জিতেছে রিয়াল। আর আজ রাতের ম্যাচে একাদশে করিম বেনজেমাকেও পাচ্ছেন আনচেলত্তি।
লিভারপুলের সমর্থকদের আতশবাজি নিয়ে মার্সেসাইড পুলিশ বিবৃতিতে বলেছে, ‘লিভারপুল সিটি সেন্টারে হোটেলের পাশে আতশবাজির খবর পাওয়ার পর সেখানে পুলিশের কর্মকর্তারা গিয়েছেন। ১৮ বছরের কম বয়সী কারও জন্য আতশবাজি বহন করা নিষিদ্ধ এবং জনসাধারণ চলাচল করে এমন জায়গায় আতশবাজি ফোটানোও নিষিদ্ধ।’