‘অপেশাদার টুর্নামেন্ট’ কোপা আমেরিকায় নিজেদের ‘দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক’ মনে হয়েছে কানাডা কোচের

কানাডার কোচ জেসে মার্শএএফপি

উরুগুয়ে–কলম্বিয়া সেমিফাইনাল ম্যাচের পর বিতর্কের কেন্দ্রে এখন ‍কোপা আমেরিকা। ম্যাচ শেষে গ্যালারিতে উপস্থিত কলম্বিয়ার দর্শকদের সঙ্গে উরুগুয়ের খেলোয়াড়দের মারামারির ঘটনাই মূলত পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করে তুলেছে। এরই মধ্যে এ ঘটনার তদন্তে নেমেছে দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবল।

এদিকে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচের আগে খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেছেন উরুগুয়ের কোচ মার্সেলো বিয়েলসা। বলেছেন, মা–বোন–সন্তানদের সুরক্ষার জন্যই খেলোয়াড়দের এগিয়ে যেতে হয়েছে। পাশাপাশি কলম্বিয়ার সমর্থকদের ক্ষমাও চাইতে বলেছেন তিনি। বিয়েলসার কথার সূত্র ধরে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেছেন কানাডার কোচ জেসে মার্শ। এ সময় কোপা আমেরিকায় তাঁদের সঙ্গে ‘দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকের মতো’ আচরণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন এই মার্কিন কোচ।

আরও পড়ুন

মারামরির ঘটনা নিয়ে বিয়েলসা বলেছেন, ‘আপনি কীভাবে মা, বোন কিংবা সন্তানকে রক্ষা না করে থাকবেন? যদি তারা তা না করত, তবে আমরা সবাই তাদের নিন্দা করতাম।’ এ ঘটনায় সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা নিয়েও কথা বলেছেন আর্জেন্টাইন এ কোচ, ‘নিষেধাজ্ঞা ফুটবলারদের বিরুদ্ধে নয়, বরং যারা এমনটা করতে বাধ্য করেছে, তাদের বিরুদ্ধে হওয়া উচিত। এটা অপমানজনক।’ এ সময় কলম্বিয়ান দর্শকদের ক্ষমাও চাইতে বলেন তিনি।

বিয়েলসার মন্তব্য নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল কানাডার কোচ জেসে মার্শের কাছেও। তিনি বলেছেন, ‘আমি তার (বিয়েলসা) মন্তব্যগুলো দেখেছি। সবগুলো দেখিনি, কিছু কিছু দেখেছি। কিছু বিষয়ে আমি তার সঙ্গে একমত, আবার কিছু বিষয়ে দ্বিমত। এই টুর্নামেন্টটি আমার কাছে পেশাদার মনে হয়নি। এটির আয়োজনে অনেক সমস্যা আছে।’

উরুগুয়ে কোচ মার্সেলো বিয়েলসা
এএফপি

উরুগুয়ে–কলম্বিয়া ম্যাচের ঘটনা নিয়ে মার্শ বলেন, ‘ম্যাচের পর কী হয়েছে, তা আমি দেখেছি। আমরা কেউ খেলোয়াড়দের পরিবারকে এমন পরিস্থিতিতে দেখতে চাই না।’ কোপায় তাঁরা নিজেরাও বৈষম্যের শিকার হয়েছেন উল্লেখ করে মার্শ বলেছেন, ‘আমরাও বর্ণবাদী আক্রমণের শিকার হয়েছি। টুর্নামেন্টজুড়ে সরাসরি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা এটা দেখেছি। আমাদের সঙ্গে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকের মতো আচরণ করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন

এ সময় টুর্নামেন্টে রেফারিংয়ের মান নিয়েও সমালোচনা করেন মার্শ। এমন বিরুদ্ধ পরিস্থিতিতে কানাডার সেমিফাইনালে উঠতে পারাকে অলৌকিক কিছু বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে এটুকুতেই সন্তুষ্ট নন মার্শ। জিততে চান তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ, ‘আমরা জানি যে অনেক কিছু আমাদের বিপক্ষে থাকবে, কিন্তু কানাডিয়ানদের জন্য এই ম্যাচের গুরুত্ব আমরা জানি। সেভাবেই আমরা নিজেদের মেলে ধরার চেষ্টা করব।’