গ্রিজমানের ওপর খবরদারি করবেন না এমবাপ্পে
বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে থেকে ফ্রান্স ফুটবল দলে গন্ডগোল লেগেই আছে। চোটে পড়া করিম বেনজেমাকে ফাইনালে খেলানো নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত। এরপর জিনাদিন জিদানকে করা মন্তব্যের জেরে পদত্যাগ করতে হয় ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি নোয়েল লে গ্রায়েতকে।
আর এখন শুরু হয়েছে নেতৃত্ব নিয়ে কিলিয়ান এমবাপ্পে ও আতোয়াঁন গ্রিজমানের দ্বন্দ্ব। যে দ্বন্দ্বে গ্রিজমানের জাতীয় দল থেকে অবসরের গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে। এই ইস্যু নিয়ে এবার মুখ খুললেন এমবাপ্পে। বলেছেন, গ্রিজমানের হতাশার বিষয়টা তিনি বুঝতে পারছেন এবং তাঁর সঙ্গে কথাও বলেছেন।
বিশ্বকাপের পর আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানান বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক উগো লরিস। লরিসের বিদায়ের পরই শূন্য হয় ফ্রান্স দলের অধিনায়কের পদ। অভিজ্ঞতা ও পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে অনেকের মতো গ্রিজমানেরও প্রত্যাশা ছিল তিনিই হবেন ফ্রান্সের নতুন অধিনায়ক। কিন্তু নতুন অধিনায়ক হিসেবে এমবাপ্পের নাম ঘোষণা করেন ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম। এর পর থেকেই গুঞ্জন, অধিনায়কত্ব না পাওয়ার অভিমানে জাতীয় দলকে বিদায় জানাতে পারেন গ্রিজমান!
ফ্রান্সের অধিনায়ক হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে আসা এমবাপ্পেকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আমি আতোয়াঁনের সঙ্গে কথা বলেছি। কারণ, সে হতাশ। সত্যি কথা বলতে, সেটা বোধগম্যও বটে। আমি তাকে বলেছি, তার জায়গায় আমি হলেও একইভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতাম। আমি তাকে বলেছি, যতদিন আমি অধিনায়ক এবং সে সহ–অধিনায়ক, আমি তার ওপর খবরদারি করব না।’
২০১৭ সালে ফ্রান্সের জার্সিতে অভিষেক হওয়া এমবাপ্পে জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬৬ ম্যাচ খেলেছেন। টানা দুটি বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলে জিতেছেন একটি। গত বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতাও হয়েছেন এই ফরাসি ফরোয়ার্ড। অন্যদিকে ২০১৪ সালে অভিষিক্ত গ্রিজমান এখন পর্যন্ত খেলেছেন ১১৭ ম্যাচ। এমবাপ্পের মতো তিনিও টানা দুটি বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছেন। অভিজ্ঞতায় গ্রিজমানের চেয়ে পিছিয়ে থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন এমবাপ্পেও, ‘ফ্রান্সের হয়ে খেলার ক্ষেত্রে তার যে অভিজ্ঞতা, আমার সেটি নেই।’