সৌদি আরবে যাওয়ার গুঞ্জন নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন সালাহ
লিওনেল মেসিকে নিয়ে গুঞ্জন উঠেছিল, তিনি সৌদি আরবের ফুটবলে যাননি। গুঞ্জন ছিল নেইমারকে নিয়ে, তিনি সৌদি আরবের ফুটবলে গেছেন। এখন সৌদি আরবের ফুটবলে যাওয়ার বিষয়ে গুঞ্জন চলছে মোহাম্মদ সালাহকে নিয়ে। গুঞ্জনটা অনেক দিনের, কিন্তু এটা বেগবান হয়েছে ইয়ুর্গেন ক্লপ মৌসুম শেষে লিভারপুল ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর।
বিষয়টি নিয়ে এত দিন কোনো কথা বলেননি সালাহ। তবে গুঞ্জনের পালে ইদানীং লেগেছে জোর বাতাস। এ কারণেই হয়তো বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে হলো লিভারপুলের মিসরীয় তারকাকে। অবশেষে সৌদি আরবে যাওয়ার গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুলেছেন সালাহ।
লিভারপুলের সঙ্গে সালাহ, ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আরনল্ড ও ভার্জিল ফন ডাইকের সঙ্গে লিভারপুলের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ আছে আর দেড় বছর। এ কারণেই সম্প্রতি এ তিনজনকে একটা প্রশ্ন শুনতে হচ্ছে—প্রিয় বসের সঙ্গে কি অ্যানফিল্ড থেকে বিদায় নেবেন তাঁরাও!
এ প্রশ্নের উত্তরে স্কাই স্পোর্টসকে সালাহ বলেছেন, ‘না, না—এটা জীবন। সবকিছু এখান থেকে ওখানে যাবে—এটা জীবনের অংশ। খেলোয়াড়েরা এরই মধ্যে ক্লাব ছেড়েছে। গুরুত্বপূর্ণ অনেক খেলোয়াড়ই ক্লাব ছেড়েছে।’
সালাহ এরপর যোগ করেন, ‘কোচও ক্লাবের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তিনিও ক্লাব ছাড়ছেন। একদিন আমিও ক্লাব ছাড়ব। কিন্তু ক্লপের চলে যাওয়ায় কোনো প্রভাব পড়বে না।’ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ থেকে এবার সৌদি প্রো লিগের দলগুলোর বড় লক্ষ্য সালাহ ও কেভিন ডি ব্রুইনা।
ক্লপের লিভারপুল ছাড়া ব্যাপারটি সালাহর কাছে অন্য রকমই লাগছে, ‘এটা অদ্ভুত। আমরা সাধারণত সাড়ে ১০টায় কোনো মিটিং করি না। সাড়ে ১০টায় আমাদের রিপোর্টিংয়ের সময়। তাই যখন তারা বলল, সাড়ে ১০টায় মিটিং, আমার তখন প্রশ্ন জাগে—কী?’
ক্লপের চলে যাওয়ার বিষয়ে কখন ও কীভাবে জানতে পেরেছেন—এ প্রশ্নের উত্তরে সালাহ বলেছেন, ‘ক্লপের এজেন্ট এখানে ছিল। আমি ভেবেছিলাম, তিনি চুক্তি নবায়ন করতে যাচ্ছেন। মিটিংয়ের ৫ মিনিট আগে ভার্জ (ভার্জিল ফন ডাইক) এসে আমাকে জিজ্ঞেস করল, “মিটিং কী নিয়ে জানো?” আমি বললাম, না। সে বলল, “কোচ চলে যাচ্ছেন।” আমি এটা শুনে হাসলাম। সে বলল, “সত্যিই কোচ চলে যাচ্ছে।” আমি আবার বললাম, “সত্যি? কেন?” সে এর উত্তরে বলল, “জানি না।”’
পরের ঘটনাটা সালাহ বর্ণনা করেছেন এভাবে, ‘কোচ এরপর বেরিয়ে এলেন এবং খেলোয়াড়েরা সবাই এ বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করতে লাগলেন। তিনিও এরপর এটা বললেন। এটা অদ্ভুত। কারণ, কেউ আগে এটা জানত না। সংবাদমাধ্যমেও কিছু আসেনি। এমনকি তিনি এ খবর শোনার জন্য আমাদের প্রস্তুতও করেননি। তিনি শুধু এটা একবারই বলেছেন। দিনটা আমাদের জন্য অদ্ভুতই ছিল। কিন্তু এটাই ফুটবল।’
কে জানে, সালাহ কোচ ক্লপের এভাবে চলে যাওয়ার বর্ণনা দিয়ে কী বোঝাতে চেয়েছেন! তাহলে কি সালাহ বলতে চাইছেন, যেতে চাইলে আগে থেকে ঢাকঢোল না পিটিয়ে হঠাৎ তিনি চলে যাবেন!