ক্লাবের কারণে জাতীয় দলের হয়ে আফ্রিকান নেশনস কাপের প্রথম ম্যাচ মিস করা আন্দ্রে ওনানা বলেছেন, দেশ ও ক্লাবের মধ্যে একটিকে বেছে নেওয়া অনেকটা মা ও বাবার মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়ার মতো। তবে ক্লাবের চেয়ে দেশকেই তিনি বেশি প্রাধান্য দেন।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলা ওনানা ক্লাব বনাম দেশ বিতর্কে মুখ খুলেছেন সমালোচিত হওয়ার জেরে। আফ্রিকান নেশনস কাপে খেলার জন্য টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই ইউরোপে থাকা বেশির ভাগ ফুটবলার জাতীয় দলে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু ইউনাইটেডের হয়ে টটেনহামের বিপক্ষে ম্যাচের কারণে ক্যামেরুনের প্রথম ম্যাচ মিস করেছেন ওনানা।
রোববার রাতে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইউনাইটেড-টটেনহাম ম্যাচ শেষ করেই একটি ভাড়া করা বিমানে আফ্রিকান নেশনস কাপের আয়োজক দেশ আইভরি কোস্টের উদ্দেশে রওনা দেন ওনানা। তিনি যতক্ষণে পৌঁছান, ক্যামেরুনের প্রথম ম্যাচ শুরু হতে মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। স্বাভাবিকভাবেই গিনির বিপক্ষে ম্যাচটিতে তিনি খেলেননি।
ওনানাকে ক্যামেরুনিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) আগেই প্রথম ম্যাচের জন্য ছাড় দিয়েছিল। তবে বিষয়টি ভালোভাবে নেননি ক্যামেরুনের সমর্থকেরা। ওনানার কাছে দেশের চেয়ে ক্লাবই বড় হয়ে গেছে মন্তব্য করে সমালোচনা করেন তাঁরা। আইভরি কোস্টে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দেশ বনাম ক্লাব বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন ওনানা। দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা বোঝাতে গিয়ে ২৭ বছর বয়সী এই গোলকিপার বলেছেন, ‘এটা অনেকটা মা আর বাবার মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়ার মতো। তবে আমার কাছে দেশই আগে। এ কারণে আমি খেলতে চলে এসেছি।’
ওনানার মিস করা ম্যাচে গিনির সঙ্গে ১-১ ড্র করে ক্যামেরুন। দলটির পরের ম্যাচ আগামীকাল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সেনেগালের বিপক্ষে। ‘সি’ গ্রুপে তাদের শেষ ম্যাচের প্রতিপক্ষ গাম্বিয়া। সামনের দুটি ম্যাচেই গোলকিপিং করার অপেক্ষায় থাকা ওনানা সমালোচকদের নিয়ে বলেন, ‘মানুষ আমাকে নিয়ে বলতে থাকুক। আমি এসবে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। দেশের জন্য যেটা ভালো, আমি সেটাই করি।’
ওনানার জাতীয় দলের খেলা নিয়ে বিতর্ক এবারই প্রথম নয়। ২০১৭ সালে আয়াক্সে খেলার সময় জাতীয় দলের হয়ে আফ্রিকান নেশনস কাপ খেলেননি তিনি। সেবার নেশনস কাপের ট্রফি জিতেছিল ক্যামেরুন। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে কোচ রিগোবার্ট সংয়ের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে এক ম্যাচ পরই দেশে ফিরেছিলেন।