সুতায় ঝুলছে মেসি–নেইমার–এমবাপ্পেদের কোচের ভাগ্য
টানা তিন হারে এখন রীতিমতো কাঁপছে পিএসজি। শুরুটা হয়েছিল ফরাসি কাপে মার্শেইয়ের কাছে ২-১ গোলে হার দিয়ে। এ হারে কাপ জেতার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেদের। ফরাসি লিগ ‘আ’তে পরের ম্যাচে মোনাকোর কাছে হারে ৩-১ গোলে। সেই হারের পর শঙ্কায় পড়েছে লিগে পিএসজির শীর্ষস্থান। তবে পিএসজির বিপর্যয় সবচেয়ে বেড়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ১-০ গোলে হারের পর।
ঘরের মাঠে এই হার পিএসজিকে ঠেলে দিচ্ছে বিদায়ের দিকে। আর দল বিদায় নিলে সবচেয়ে বড় খড়্গটা পড়তে পারে পিএসজি কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়েরের ওপর। ফরাসি সংবাদমাধ্যম আরএমসি স্পোর্টস বলছে, ৮ মার্চ বায়ার্নের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগে ঘুরে দাঁড়াতে ব্যর্থ হলে বিদায় নিতে হতে পারে গালতিয়েরকে। এই ফরাসি কোচের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে সেই ম্যাচের ফলাফলের ওপর।
সাধারণত বড় দলগুলোতে কোচের ভাগ্য নির্ভর করে বড় ম্যাচে পারফরম্যান্সের ওপর। তবে দলটির নাম যদি হয় পিএসজি, তবে কথাটা যেন আরও বেশি সত্যি। গালতিয়েরও এখন সেই শঙ্কায় আছেন। এই কোচ দায়িত্ব নেওয়ার পর অবশ্য তাঁর সামর্থ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন অনেকে। টানা তিন ম্যাচ হারের পর বিরোধী শিবিরের অবস্থানও এখন অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে। ২০১১ সালের পর আর কখনো টানা তিন ম্যাচে হারেনি পিএসজি।
পিএসজির এমন হতশ্রী পারফরম্যান্সের জন্য দায়ী করা হচ্ছে গালতিয়েরের কোচিংয়ের ধরনকে। একই ফরমেশনে বৈচিত্র্যহীনভাবে তিনি দলকে খেলিয়ে যাচ্ছেন। এখন দলটির খেলার ধরনও সবাই বুঝে গেছে। বায়ার্নের বিপক্ষেও চাপের মুখে ভিন্ন কিছু করে চমকে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন পিএসজি কোচ। এমবাপ্পে চোটে থাকায় গতিময় হুগো একিতিকেকে না খেলানোর সিদ্ধান্তও পছন্দ হয়নি অনেকের।
এমনকি মাঠের বাইরে মেসি-নেইমার-এমবাপ্পের মতো বড় তারকাদের সামলাতে তিনি কতটা সফল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে লম্বা সময় ধরে নেইমার-এমবাপ্পের দ্বন্দ্ব আলোচনার কেন্দ্রে থাকলেও তা নিরসনে বড় ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন গালতিয়ের।
গালতিয়েরের বিদায়ের ভবিষ্যদ্বাণী করার পাশাপাশি আরএমসি সম্ভাব্য কোচের নামও জানিয়েছে। এ ক্ষেত্রে জিনেদিন জিদানকেই এগিয়ে রাখছে তারা। আগে থেকেই কাতারি মালিকানাধীন ক্লাবটির বিশেষ পছন্দের ছিলেন জিদান। তবে জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার অপেক্ষায় থাকা জিদান সে সময় অন্য কোনো প্রস্তাব বিবেচনা করেননি।
ফ্রান্সের সঙ্গে দিদিয়ের দেশম চুক্তি নবায়ন করার পর এখন পিএসজিতে আসার পথটা উন্মুক্ত হলো জিদানের জন্য। তবে যেকোনো সিদ্ধান্তের জন্য পিএসজি যে বায়ার্নের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করবে, তা বলাই যায়।