মেসি–ম্যারাডোনার দেশেও জামালের মাথায় ছিল মালদ্বীপ
মেসি–ম্যারাডোনাদের দেশে খেলার সময়ও জামাল ভূঁইয়ার মাথায় ছিল ‘মালদ্বীপ’! আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিভাগের দল সোল দো মায়োর হয়ে খেলছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক। কিন্তু ফুটবলের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের দেশে বসেও ১২ অক্টোবর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রাথমিক রাউন্ডের ম্যাচটি নিয়ে ভেবেছেন। ম্যাচটা যে বাংলাদেশের ফুটবলের জন্যই অতি গুরুত্বপূর্ণ!
মালদ্বীপ রওনা হওয়ার আগে গতকাল বিকেলে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ছিল জাতীয় ফুটবল দলের শেষ অনুশীলন। সংবাদ সম্মেলনে মালদ্বীপের বিপক্ষে ১২ ও ১৭ অক্টোবরের দুটি ম্যাচের কথা তো জামাল বললেনই। অবধারিতভাবেই উঠল তাঁর আর্জেন্টিনায় থাকার সময়ের কথাও।
সোল দো মায়োতে রাজকীয় অভ্যর্থনা পেয়েছেন। গোলও করেছেন দলটির জার্সি গায়ে। এখনো পর্যন্ত আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিভাগের দলটিতে খেলার অভিজ্ঞতা ‘চমৎকার’ বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘আর্জেন্টিনার পরিবেশ পুরোপুরি অন্য রকম। সেখানে কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার একটা ব্যাপার ছিল। এখন পর্যন্ত সেখানে আমার অভিজ্ঞতা চমৎকার। তবে আর্জেন্টিনায় আমি সব সময়ই মালদ্বীপ ম্যাচ নিয়ে ভেবেছি। এ ম্যাচে ভালো খেলার লক্ষ্য স্থির করেছি। মালদ্বীপের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ দুটি আমাদের ফুটবলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জিততেই হবে।’
দেশের হয়ে খেলার মতো গর্বের জামালের কাছে আর কিছুই নেই, ‘আর্জেন্টিনায় খেলছি। কিন্তু আমি বাংলাদেশের জার্সিতে খেলতেই বেশি গর্ব বোধ করি। এটা আমার দেশ। দেশের হয়ে খেলার চেয়ে গর্বের আর কিছুই হতে পারে না। আশা করি, আর্জেন্টিনায় খেলার অভিজ্ঞতা আমি মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচে কাজে লাগাতে পারব।’
বিশ্বকাপ চলছে বলে সংবাদ সম্মেলনে চলে আসে ক্রিকেটের প্রসঙ্গও। আজ ধর্মশালায় বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সাকিব–লিটনরা মাঠে নামবেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। তার আগে ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ক্রিকেট দলকে জানিয়েছেন আন্তরিক শুভকামনা, ‘আমরা সবাই চাই বাংলাদেশ ক্রিকেট দল জিতুক। প্রথম ম্যাচটি আমরা জিতেছি। আমি চাই পরের সব কটি ম্যাচই ক্রিকেট দল জিতুক। আমার শুভকামনা আছে তাদের জন্য। শুধু ক্রিকেট দল বা ফুটবল দলই নয়, বাংলাদেশের সব খেলার খেলোয়াড়দের প্রতি আমার শুভকামনা সব সময়ই আছে।’