মেসির স্ত্রী রোকুজ্জোর মনে আনন্দ আর ধরে না
আর্জেন্টিনা সেমিফাইনালে ওঠার পরও এমন একটা ছবি পোস্ট করেছিলেন আন্তোনেলা রোকুজ্জো। তিন সন্তানকে নিয়ে হাসিখুশি একটা ছবি নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে লেখেন, ‘সেমিতে! এগিয়ে যাও আর্জেন্টিনা, হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা।’ কাতার বিশ্বকাপজুড়েই এমন সব ছবি পোস্ট করেছেন রোকুজ্জো। মাঠে তাঁর জীবনসঙ্গী লিওনেল মেসি লড়াই করেন আর্জেন্টিনার জন্য। আর রোকুজ্জো আর্জেন্টিনার জার্সি পরে গ্যালারি থেকে সমর্থন দেন তাঁর দেশ আর্জেন্টিনাকে, মেসিকে। কাল রাতে আর্জেন্টিনা ফাইনালে ওঠার পরও এমন একটি পোস্ট করেন রোকুজ্জো।
লুসাইল স্টেডিয়ামে কাল রাতে সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ৩–০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে আর্জেন্টিনা। নিজে একটি গোল করার পাশাপাশি হুলিয়ান আলভারেজকে দিয়েও গোল করান মেসি। আর জোড়া গোল করেন আলভারেজ। দুর্দান্ত এই জয়ের পর মনের আনন্দ আর ধরে রাখতে পারেননি রোকুজ্জো। তিন সন্তান থিয়াগো, মাতেও ও চিরোকে নিয়ে লুসাইলের গ্যালারিতে একটি ছবি তোলেন। সেই ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে রোকুজ্জো লিখেছেন, ‘এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। কারণ, কেউ তা বুঝবেন না। এগিয়ে যাও আর্জেন্টিনা, এগিয়ে যাও মেসি।’
কাতার বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত ৫ গোল করেছেন মেসি। গোল বানিয়েও দিয়েছেন। আর্জেন্টিনার ফাইনালে ওঠায় তাঁর অবদান এক কথায় অনবদ্য। কাল রাতে ফাইনালে ওঠার পর পরিবারকেও স্মরণ করেছেন এই তারকা, ‘পরিবারের কথা মনে পড়ছে। তারা সব সময় পাশে ছিল। ভালো ও খারাপ—দুই রকম সময়ই পার করেছি। তবে এখনকার সময়টা উপভোগের।’
রোজারিওতে জন্ম নেওয়া রোকুজ্জোর সঙ্গে মেসির প্রথম দেখা ১৯৯৬ সালে। তাঁর কাজিন ও ফুটবলার লুকাস স্কাগলিয়া মেসির শৈশবের বন্ধু। স্কাগলিয়ার মাধ্যমেই রোকুজ্জোর সঙ্গে পরিচয় ঘটে মেসির। ২০০৭ সালে রোকুজ্জোর খুব কাছের এক বন্ধু গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর তাঁকে মানসিকভাবে সমর্থন দিতে বার্সেলোনা থেকে আর্জেন্টিনায় ফিরে যান মেসি।
সেখান থেকে ফেরার পর প্রণয়ে জড়িয়ে পড়েন দুজন। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে এক সাক্ষাৎকারে মেসি প্রথম স্বীকার করেন, রোকুজ্জোর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক চলছে। ২০১৭ সালে রোজারিওতে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন দুজন।