৫৫৫ কোটি টাকায় সিটি থেকে চেলসিতে যাচ্ছেন স্টার্লিং
কিছুদিন আগেও মালিকানা নিয়ে ঝামেলায় দিন কাটিয়েছে চেলসি। সে সময় এখন অতীত। আব্রামোভিচ–যুগ শেষে টড বোয়েলির মালিকানায় নতুন দিনের স্বপ্ন দেখছে টমাস টুখেলের দল। সে স্বপ্নযাত্রার অংশীদার হতে ম্যানচেস্টার সিটি থেকে প্রায় পাঁচ কোটি পাউন্ডের বিনিময়ে ইংলিশ উইঙ্গার রহিম স্টার্লিংকে দলে টানছে ‘ব্লুজ’।
বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৫৫৫ কোটি টাকার সমান।
দল থেকে রোমেলু লুকাকু চলে গিয়েছেন আগেই, পাড়ি জমিয়েছেন ইন্টার মিলানে। ক্রিস্টিয়ান পুলিসিক, হাকিম জিয়াশের মতো উইঙ্গারদের অবস্থানও নড়বড়ে। প্রত্যাশিত প্রস্তাব পেলেই এই দুই ফরোয়ার্ডকে ছেড়ে দেবে চেলসি। অর্থাৎ আগামী মৌসুমে সম্পূর্ণ নতুন চেহারায় দেখা যাবে চেলসির আক্রমণভাগকে।
আর সে নতুন আক্রমণভাগের অন্যতম প্রধান অস্ত্র হয়েই ম্যানচেস্টার সিটি থেকে চেলসিতে আসছেন লিভারপুলের সাবেক এই উইঙ্গার। স্টার্লিং নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিটি ছাড়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন।
আপাতত মূল দলবদল ফি হিসেবে ৪ কোটি ৭৫ লাখ পাউন্ড সিটিকে দিচ্ছে চেলসি। পারফরম্যান্স বোনাস বাবদ আরও ২৫ লাখ পাউন্ড আয় করার সুযোগ থাকছে সিটির সামনে। সব মিলিয়ে অঙ্কটা তাই পাঁচ কোটি পাউন্ডই বলা চলে।
দলবদল–বিষয়ক বিখ্যাত সাংবাদিক ফাব্রিজিও রোমানো জানিয়েছেন, এর মধ্যেই লন্ডনে প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন স্টার্লিং। তাঁকে নিয়ে প্রয়োজনীয় দাপ্তরিক কাজও সেরে রেখেছে দুই দল। অপেক্ষা শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। সেটাও আজকালের মধ্যে হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন রোমানো।
চেলসি দল এখন প্রাক্-মৌসুমের ম্যাচ খেলতে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে অবস্থান করছে। মেডিক্যাল পরীক্ষা শেষে স্টার্লিংও লন্ডনে পাড়ি জমিয়েছেন বলে জানিয়েছেন চেলসি-বিষয়ক দুই নির্ভরযোগ্য সাংবাদিক ম্যাট ল ও অ্যাডাম নিউসন। সেখানেই আনুষ্ঠানিকভাবে চেলসির হয়ে যাবেন এই ইংলিশ উইঙ্গার।
সিটিতে প্রতি সপ্তাহে তিন লাখ পাউন্ড করে আয় করেন স্টার্লিং। ধারণা করা হচ্ছে, চেলসিতে এর চেয়েও বেশি আয় করবেন এই উইঙ্গার। চেলসির হয়ে পাঁচ বছরের চুক্তি করছেন স্টার্লিং।
শুধু স্টার্লিংই নন, নাপোলির সেনেগালিজ সেন্টারব্যাক কালিদু কুলিবালি ও বায়ার্নের জার্মান উইঙ্গার সার্জ নাবরিকে দলে টানার ব্যাপারেও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দলটা।