একটি বিশ্বকাপ ট্রফির জন্য উন্মুখ হয়ে ছিলেন লিওনেল মেসি। এর আগে চারবার বিশ্বকাপে খেলতে গিয়েও ফিরতে হয়েছে হতাশা নিয়ে। ২০১৪ সালে হতাশা নিয়ে ফিরতে হয়েছিল ফাইনাল থেকে। তবে ক্যারিয়ারের শেষ বেলায় এসে মেসি ঠিকই জিতে নিয়েছেন বিশ্বকাপ। কাতারে সবাইকে পেছনে ফেলে শ্রেষ্ঠত্বের চূড়া স্পর্শ করেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
বিশ্বকাপে জয়ের আনন্দ নিয়ে দেশে ফিরেছে আর্জেন্টিনা দল। এর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে শিরোপাজয়ের আনন্দটা সমর্থকদের সঙ্গে ভাগাভাগি করেছেন মেসি। সেই সঙ্গে ব্যর্থতার ভেতর দিয়েই যে এই সাফল্য এসেছে, তা–ও মনে করিয়ে দিয়েছেন।
গত রোববার ফ্রান্সকে হারিয়ে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপের দেখা পায় আর্জেন্টিনা। শিরোপা জিতে সপ্তম স্বর্গে থাকা মেসি বলেছেন, ‘গ্রান্দোলি থেকে কাতার বিশ্বকাপ পর্যন্ত ৩০ বছর চলে গেছে। প্রায় তিন দশকে বল আমাকে অনেক আনন্দ ও কিছু বেদনাও দিয়েছে। আমার সব সময় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন ছিল। আমি কখনো চেষ্টা করা থামাইনি, এমনকি এটাও জানতাম যে এটা কখনো নাও হতে পারি।’
বিশ্বকাপ জিতে মেসি স্মরণ করেছে সাবেক সতীর্থদেরও। যাদের সঙ্গে এর আগে চেষ্টা করেও সাফল্য পাননি তিনি, ‘এই যে বিশ্বকাপটা আমরা জিতেছি, এটা তাদের জন্যও, যারা আগের বিশ্বকাপগুলোতে চেষ্টা করেও এটা জেতেনি। যেমন ২০১৪ বিশ্বকাপে ব্রাজিলে সবারই এটা প্রাপ্য ছিল, কারণ সবাই শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে এবং কঠিন পরিশ্রম করেছে। তারাও এটা সেভাবে পেতে চেয়েছে, যেভাবে আমি চেয়েছি। সেটা আমাদের প্রাপ্য ছিল। যদিও শেষটা ভালো হয়নি।’
১৯৮৬ বিশ্বকাপে ডিয়েগো ম্যারাডোনার হাত ধরেই শিরোপা এসেছিল আর্জেন্টিনায়। দুই বছর আগে অন্য লোকে পাড়ি জমানো কিংবদন্তি ম্যারাডোনাকেও এই আনন্দের মুহূর্তে ভুলে যাননি মেসি, ‘এটা ডিয়েগোর জন্যও, যে স্বর্গ থেকে আমাদের সাহস দিয়েছে। এটা তাদের জন্যও, যারা জাতীয় দলকে ফল প্রত্যাশা ছাড়াই সাহায্য করে গেছে।’
জাতীয় দলের কোচিং স্টাফ এবং দলের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা সবার কথা স্মরণ করে মেসি তাঁর পোস্টটি শেষ করেছেন এভাবে, ‘অনেক সময় ব্যর্থতা হচ্ছে যাত্রা এবং শেখার অংশ। হতাশা ছাড়া সাফল্য পাওয়া অসম্ভব। আপনাদের হৃদয় থেকে ধন্যবাদ। এগিয়ে চলো আর্জেন্টিনা!!!’