কত টাকা পেলে হেঁটে সৌদি আরব যাবেন আনচেলত্তি
২০২১ সালে সৌদি আরবের সরকারি বিনিয়োগ তহবিল বা পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (পিআইএফ) অর্থায়নে চালু করা হয় লিভ গলফ নামে পেশাদার প্রতিযোগিতা। সেই প্রতিযোগিতায় খেলার জন্য আগামী চার বছরে স্প্যানিশ গলফার জন রাহম ৪৫০ মিলিয়ন পাউন্ড পাবেন বলে জানা গেছে। রাহমের প্রসঙ্গ টেনে রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, বছরে ৪৫০ মিলিয়ন পাউন্ড পেলে তিনি কী সিদ্ধান্ত নেবেন? সব বাদ দিয়ে তখন কি আনচেলত্তি সৌদি আরবকে বেছে নেবেন? সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে বেশ মজার উত্তরই দিয়েছেন আনচেলত্তি।
গত জানুয়ারি থেকে ফুটবল দুনিয়া বদলে দিয়েছে সৌদি আরব। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে দিয়ে শুরু। এরপর একে একে নেইমার-করিম বেনজেমাসহ অনেক তারকা ফুটবলার পাড়ি জমিয়েছেন সৌদি আরবে। শুধু খেলোয়াড়ই নয়, স্টিভেন জেরার্ডের মতো কোচও নিজেদের ঠিকানা খুঁজে নিয়েছেন সৌদি আরবে।
এবার গলফার রাহমের সৌদিতে খেলতে যাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে আনচেলত্তিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, বছরে ৪৫০ মিলিয়ন পাউন্ড (৬ হাজার ২১৬ কোটি) পেলে তিনিও সৌদি আরবে যাবেন কি না। উত্তরে মজা করে আনচেলত্তি বলেছেন, ‘হেঁটে যাব। পায়ে হেঁটে। আমি হাঁটতে হাঁটতে চলে যাব, আমার ফ্লাইটেরও প্রয়োজন হবে না।’
এটি যে মজা করেছেন, তা উত্তরই বলে দিচ্ছে। এরপরও কেউ যদি ভুল বোঝেন, সেটি ভেবেই হয়তো আনচেলত্তি নিজেই বিষয়টি আরেকটু ব্যাখ্যা করেন এভাবে, ‘এটা মজা করে বলা। পৃথিবী বদলে যাচ্ছে। আর বদলাবেই। এসব কাউকে বিস্মিত করছে না। জন রাহম খুবই ভালো। আমি গলফ–বিশেষজ্ঞ না। কিন্তু জন রাহমকে আমার সবার সেরা মনে হয়।’
এরপর আনচেলত্তির কাছে জানতে চাওয়া হয়, সৌদি আরবে যাওয়ার ব্যাপারে কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কি না? উত্তরে রিয়াল কোচ বলেছেন, ‘নাহ। তারা কেউ আমাকে ফোন করেনি। আমি বর্তমানে বাস করি। আর বর্তমান খুব ভালোও।’
সৌদি আরব থেকে প্রস্তাব পেলে কী সিদ্ধান্ত নেবেন, তা জানতে চাইলে আনচেলত্তি বলেছেন, ‘আমার অন্য ভাবনা আছে, তবে সেটা এখনই নয়। আমি কখনো অর্থের দিকে তাকাই না। কারণ, আমি এমন পরিবারে বেড়ে উঠেছি, যেখানে অর্থ গুরুত্বপূর্ণ নয়। আর সত্য কথা হচ্ছে আমার কাছে টাকা আছে। আমার জন্য তাই গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ভালো বোধ করা। এমনটা হতে পারে, কোনো এক দিন সৌদি আরব আমার ভালো লাগবে, কিন্তু এখন আমি এখানেই ভালো আছি।’
আনচেলত্তি অবশ্য ভবিষ্যৎ নিয়ে না ভাবার কথা বললেও ভবিষ্যৎ কিন্তু একরকম তিনি ঠিক করেই রেখেছেন। এ মৌসুম শেষে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তি শেষ হবে তাঁর। আর এরপর আনচেলত্তির ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে নতুন মিশন শুরুর কথা রয়েছে।