‘৮০০ গোল করবে হলান্ড’

গোল করেই যাচ্ছেন আর্লিং হলান্ডএএফপি

ক্লাব ক্যারিয়ারে এখনো ২০০ গোল হয়নি আর্লিং হলান্ডের। মূল দলে খেলার ৭ বছরে ২১৯ ম্যাচে গোল ১৭৯টি। তবে নরওয়ের ম্যানচেস্টার সিটি স্ট্রাইকার যেভাবে খেলে চলেছেন, ৮০০ গোল করা খুবই সম্ভব বলে মনে করছেন কেভিন ডি ব্রুইনা।

আরও পড়ুন

২০১৫ সালে নরওয়ের তৃতীয় ডিভিশনের দল ব্রাইনা ২ দিয়ে হলান্ডের মূল দলে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু। এর পর অস্ট্রিয়া ও জার্মানির লিগ ঘুরে এ বছর যোগ দিয়েছেন ইংলিশ লিগে। ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে খেলা ১৯ ম্যাচেই গোল করেছেন ২৪টি। ক্লাব সতীর্থ হিসেবে নরওয়েজিয়ান এই স্ট্রাইকারকে খুব কাছ থেকে দেখছেন ডি ব্রুইনা। তাঁর মতে, হলান্ডের গোলক্ষুধা খুব বেশি, ‘ওর মধ্যে গোল নিয়ে একধরনের ঘোর আছে। এরই মধ্যে প্রায় ২০০ গোল করে ফেলেছে। ফিট থাকলে ৬০০, ৭০০, এমনকি ৮০০ গোলও করে ফেলতে পারে। খুবই উঁচুমানের স্ট্রাইকার হলান্ড।’

আর্লিং হলান্ড কি ক্যারিয়ারে ৮০০ গোল করবেন
ছবি: এএফপি

সিটিতে আসার পর হলান্ডের নিয়মিত গোল-সামর্থ্যে বিস্মিত অনেকেই। তবে ডি ব্রুইনা মনে করছেন, এমন কিছু স্বাভাবিকই, ‘অন্যদের তুলনায় হলান্ড ভিন্ন কিছু নয়। অন্য সবার মতো সে–ও সাধারণ ফুটবল খেলোয়াড়। সে নিজেকে খুব বেশি গুরুত্বের সঙ্গে দেখেও না। এমনিতে সব পেশাদার ক্রীড়াবিদেরই নিজস্ব কিছু থাকে। সেটা না থাকলে কেউ নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে পারে না।’

আরও পড়ুন

আট মৌসুম ধরে সিটিতে খেলছেন ডি ব্রুইনা। স্ট্রাইকার হিসেবে সের্হিও আগুয়েরো, রোমেলু লুকাকু ও গ্যাব্রিয়েল জেসুসদের দেখেছেন। তাঁদের সঙ্গে হলান্ডকে তুলনা না করেও বিশেষ একটি পার্থক্য দেখছেন বেলজিয়ান মিডফিল্ডার, ‘ওদের সঙ্গে হলান্ডের তুলনা করা কঠিন। কারণ, একেকজনের ধরন একেক রকম। ওরা সবাই ৩০০-৪০০ গোলের মালিক। তবে গোল করা নেশা হওয়ায় ওদের ছাড়িয়ে যেতে পারে হলান্ড।’

ডি ব্রুইনা ৮০০ গোল দেখছেন হলান্ডের পায়ে
ছবি: এএফপি

সংরক্ষিত তথ্য অনুসারে, ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক এখন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৮১৯ গোল পর্তুগিজ তারকার। ৭৯৩ গোল নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে সাতবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী লিওনেল মেসি।

সামনে দীর্ঘ ক্যারিয়ার থাকায় গোলসংখ্যায় হলান্ডেরও ওই পর্যায়ে চলে যাওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন ডি ব্রুইনা, ‘ওর বয়স কম। এখনো জীবন উপভোগ করছে। ফুটবলটাকেও খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। গোল করতে ভালোবাসে। আর এটাই ওকে ভিন্নতর করে তুলছে।’