নেইমার–রোনালদো–এমবাপ্পে মিলেও যেখানে মেসিকে ধরতে পারেননি
যুক্তরাষ্ট্রের ঘরোয়া ফুটবল মাতাচ্ছেন লিওনেল মেসি। আজও লিগস কাপে ফাইনালে ওঠার পথে গোল করেছেন। ইন্টার মায়ামির হয়ে এ নিয়ে ৬ ম্যাচে ৯ গোল হলো মেসির। প্রতি ম্যাচে গোল করেছেন। আর এই গোল ধারাবাহিকতায় ঝড় তুলেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও। সেটি এতটাই যে জুলাইয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘মেনশন’ করার তালিকায় নেইমার, কিলিয়ান এমবাপ্পে ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকেও পেছনে ফেলেছেন আর্জেন্টাইন তারকা।
তালিকাটি প্রস্তুত করেছে আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘ওলে’। তারা জানিয়েছে, গত জুলাইয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেসিকে ১ কোটি ১৭ লাখ বার ‘মেনশন’ (উল্লেখ) করা হয়েছে। গত ৭ জুন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) দল ইন্টার মায়ামিতে যাওয়ার ঘোষণা দেন মেসি। এরপরই যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে মেসিকে নিয়ে ঝড় ওঠে।
মায়ামির হয়ে তাঁর অভিষেক কবে—এই অপেক্ষায় জুলাইয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর জল্পনাকল্পনা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ২১ জুলাই লিগস কাপে মায়ামির হয়ে অভিষেকেই গোল করেছিলেন মেসি। সে ম্যাচ ঘিরে মেসিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ২০ লাখ বার ‘মেনশন’ করা হয়েছিল। পরের তিন ম্যাচেই জোড়া গোল করেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই জুলাইয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেসিকে নিয়ে উত্তাল ছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা।
তবে জুলাইয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেসিকে যতবার ‘মেনশন’ করা হয়েছে, সেই সংখ্যা একটি হিসাবে চমকজাগানিয়া। আগে নেইমার, এমবাপ্পে ও রোনালদোদের হিসাবটা জানিয়ে দেওয়া যাক। জুলাইয়ে পিএসজির ফরাসি তারকা এমবাপ্পেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘মেনশন’ করা হয়েছে ৪৮ লাখ বার। আল নাসরের পর্তুগিজ তারকা রোনালদোকে ‘মেনশন’ করা হয়েছে ৩০ লাখ বার।
আর কালই পিএসজি ছেড়ে সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালে যোগ দেওয়া নেইমারকে ২৬ লাখ বার ‘মেনশন’ করা হয়েছে জুলাইয়ে। অর্থাৎ এই তিন তারকাকে জুলাইয়ে ‘মেনশন’ করা হয়েছে মোট ১ কোটি ৪ লাখ বার। মেসিকে জুলাইয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যতবার ‘মেনশন’ করা হয়েছে, নেইমার-রোনালদো-এমবাপ্পেরা মিলেও তা টপকে যেতে পারেননি।
‘ওলে’র বিশ্লেষণে আরও জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেসিকে যে দেশ থেকে সবচেয়ে বেশি ‘মেনশন’ করা হয়েছে, সেটি তাঁর জন্মভূমি আর্জেন্টিনা নয়। যুক্তরাষ্ট্রে মেসিকে ‘মেনশন’ করা হয়েছে সবচেয়ে বেশি ৩১ লাখ বার। আর্জেন্টিনায় সংখ্যাটা ১৪ লাখ এবং এই তালিকায় তৃতীয় দেশটি ব্রাজিল। মেসিকে ঘিরে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা ইমোজি হলো ‘গোট’ (গ্রেটেস্ট অব অলটাইম)।
এর আগে আগস্টের শুরুতে আর্জেন্টিনার ডিজিটাল কমিউনিকেশন কনসালট্যান্সি ফার্ম ‘হাউসকম’ একটি হিসাব দিয়েছিল। তাদের দাবি অনুযায়ী, মেসি মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এর যে প্রভাব পড়েছে, তা সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরের তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর চেয়ে ১০ গুণ বেশি।
অনলাইন বেটিং প্রতিষ্ঠান জেফবেট পরিচালিত এর আগে এক গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, জুলাইয়ে ইন্টার মায়ামিকে খোঁজা হয়েছে ৮০ লাখ ২০ হাজার বার। মেসির আসার আগে গড়ে মায়ামিকে যে পরিমাণে খোঁজা হতো, তার চেয়ে কত শতাংশ বেশি, জানেন? ১০ হাজার ৪২৬ শতাংশ! অথচ পুরো জুলাইয়েও মেসিকে পায়নি মায়ামি। কিন্তু মেসির কল্যাণেই ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া মায়ামি থাকছে টুইটার ট্রেন্ডে।