মেসি–নেইমার ২০২২ সালের ইউরোপের সেরা দুই ‘লাতিন’
২০২১ সালে বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দিয়েছিলেন মেসি। প্রথম বছরটা পরিসংখ্যানগত দিক দিয়ে আর্জেন্টাইন তারকার খুব ভালো কেটেছিল, সে কথা বলা যাবে না। মেসির খেলা নিয়ে সমস্যা ছিল না, কিন্তু তিনি নিজের মানদণ্ডটা এমন একটা জায়গায় নিয়ে গেছেন, যে গোল কম করায় অনেকের মনে হচ্ছিল, প্যারিসে তিনি তেমন ভালো করতে পারছেন না।
তবে বিশ্বকাপের বছরের শুরু থেকেই মেসি ছিলেন অন্য রকম। বিশ্বকাপের আগে নিজের প্রস্তুতিটা মেসি ফ্রেঞ্চ লিগে খুব ভালোভাবেই নিয়েছিলেন। অনেকেই তো বলছেন, মেসি মৌসুমের প্রথম ভাগে পিএসজির জার্সিতে নিজের ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন।
বিশ্বকাপ জিতে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন মেসি। বিশ্বকাপ জয়ের উৎসব কাটিয়ে এখনো প্যারিসে ফেরেননি তিনি। তবে শিগগিরই ফিরবেন। ফুরফুরে মেজাজে খেলবেন মৌসুমের বাকি সময়টুকু। মেসির এখনো পাওয়ার বাকি, অন্তত পিএসজির হয়ে।
লিগ জিতেছেন প্রথম মৌসুমে, এবার বাকি চ্যাম্পিয়নস লিগ। ইউরোপ–সেরা হওয়াটা পিএসজির অনেক দিনের আরাধ্য। এবার মেসি যদি সেটি নেইমার আর এমবাপ্পেকে সঙ্গে নিয়ে এনে দিতে পারেন! এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ ষোলোয় পিএসজির প্রতিপক্ষ বায়ার্ন মিউনিখ। যে বায়ার্নের বিপক্ষে ২০২০ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল হেরেছিল তারা।
মেসির মতো নেইমারও বিশ্বকাপের আগের সময়টুকু দারুণ খেলেছেন। ব্রাজিলের হয়ে যদিও তাঁর বিশ্বকাপটা ভালো যায়নি। কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে দারুণ এক গোল করেও দেশকে সেমিফাইনালে তুলতে পারেননি ‘নাম্বার টেন’। বিশ্বকাপের পর পিএসজির জার্সিতে খেলতে নেমে অবশ্য শুরুটা ভালো হয়নি নেইমারের।
স্ত্রাসবুর্গের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই লাল কার্ড দেখেছেন। কিন্তু তারপরও বিশ্বকাপের আগে তিনি ছিলেন দুর্দান্তই। শুধু ফ্রান্সে নয়, ইউরোপের সেরা পাঁচ লিগের মধ্যে পারফরম্যান্সের দিক দিয়ে সেরা লাতিন ফুটবলার নেইমার। মেসি আছেন তাঁর পরপরই।
পিএসজির মোট ৩৪টি গোলে নেইমারের অবদান আছে। মেসির অবদান ৩২ গোলে। নেইমার গোল করেছেন ২১টি, গোলে সহায়তা দিয়েছেন ১৩টিতে। গোলে সহায়তায় অবশ্য মেসি অনেক এগিয়ে। তিনি ১২ গোলের বিপরীতে গোলে সহায়তা দিয়েছেন ২০টিতে। হিসাবটা টুইটারে দিয়েছে ফুটবলের পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা অপটাজাভিয়ার।
নেইমার আর মেসির পরের অবস্থানে আছেন রিয়াল মাদ্রিদ ও ব্রাজিলের ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তিনি রিয়াল মাদ্রিদের মোট ২২ গোলের অংশ। ভিনি নিজে গোল করেছেন ১৩টি, গোলে সহায়তা ৯টিতে। ভিনিসিয়ুসের পরের দুটি নাম ইন্টার মিলানের আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লাওতারো মার্তিনেজ ও আর্সেনালের ব্রাজিলিয়ান তারকা গ্যাব্রিয়েল জেসুস।