‘মৃত্যুকূপ’ থেকে ফাইনালে উঠে ইতিহাস ইন্টারের
‘আমরা কী করেছি, সেটা বুঝতে পারব আগামী কয়েক দিনের মধ্যে।’
কথাটা ইন্টার মিলানের কোচ সিমোন ইনজাঘির। কাল রাতে এসি মিলানকে বিদায় করে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল নিশ্চিতের পর কথাটা বলেছেন ইন্টার কোচ। ইতালিয়ান ক্লাবটি ১৩ বছর পর উঠেছে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে।
উপলক্ষটা নিশ্চিতভাবেই ইন্টারের জন্য আনন্দের। তবে স্প্যানিশ সংবাদকর্মী গিয়েম বালাগের কাছে ইন্টারের ফাইনালে ওঠা ‘অলৌকিক ব্যাপার।’ কেন—সে প্রশ্নের উত্তরে লুকিয়ে আছে ইতিহাস।
এবার চ্যাম্পিয়নস লিগ গ্রুপপর্বে ইন্টারের প্রতিপক্ষ দলগুলো স্মরণ আছে? ‘সি’ গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ ষোলোয় উঠেছিল ইতালিয়ান ক্লাবটি। এই গ্রুপ থেকে ইন্টারের তিন প্রতিপক্ষ ছিল বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ ও ভিক্টোরিয়া প্লজেন। ‘মৃত্যুকূপ’ বলা হয়েছিল ‘সি’ গ্রুপকে। ইন্টার সেই ‘কূপ’ থেকে উঠে এখন চূড়ান্ত সাফল্য পাওয়ার অপেক্ষায়। আর মাত্র এক ধাপ। ফাইনালটা পাড়ি দিতে পারলেই ইউরোপসেরা!
তবে ফাইনালে উঠে আসার পথেই ইতিহাস গড়েছে ইন্টার। এবার চ্যাম্পিয়নস লিগে সিমোন ইনজাঘির দলের অভিযাত্রা শুরু হয়েছিল হার দিয়ে। সান সিরোয় ৭ সেপ্টেম্বর বায়ার্নের কাছে ২-০ গোলের হারে যাত্রা শুরু করেছিল ইন্টার। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে ঘরের মাঠে হার দিয়ে যাত্রা শুরু করেও ফাইনালে উঠল ইন্টার।
ইনজাঘি জানালেন ফাইনাল পর্যন্ত উঠে আসার পেছনে বিশ্বাসের কথা। ইন্টারের খেলোয়াড়েরা নিজেদের ওপর আস্থা রেখেছিলেন, ‘স্বপ্নপূরণ হলো। তবে আমরা নিজেদের ওপর বিশ্বাস রেখেছিলাম যে পারব। এটা একটা অসাধারণ যাত্রা।’
কাল রাতে সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে ৭৪ মিনিটে লাওতারো মার্তিনেজের গোলে ১-০ ব্যবধানের জয় পায় ইন্টার। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০ গোলের জয়ে ফাইনালে উঠল তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা।
আজ রাতে অপর সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে ম্যানচেস্টার সিটি। ইনজাঘি আরাম করে ম্যাচটি দেখতে চান। ফাইনালে রিয়াল কিংবা সিটির মুখোমুখি হতে হলেও এসব নিয়ে আপাতত ভাবছেন না ইন্টার কোচ, ‘তারা অবশ্যই ইউরোপের অন্যতম সেরা দুটি দল। প্রথম ম্যাচে সমানে সমান লড়াই হয়েছে। আমি এই (ফিরতি লেগ) ম্যাচটা খুব আগ্রহ নিয়ে দেখব।’