আজ রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ফাইনাল খেলা কি হবে হ্যাজার্ডের
রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েছেন ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে। কিন্তু তারপর প্রায় তিন বছর কেটে গেলেও এডেন হ্যাজার্ড কেন জানি ঠিক রিয়ালের খেলোয়াড় হয়ে উঠতে পারেননি।
চোট, বাজে ফর্ম, কোচের সঙ্গে শীতল সম্পর্ক—সব মিলিয়ে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে তিনি যেন রিয়ালের জার্সি গায়ে এক আগন্তুক। যে কারণে কখনো রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে কোনো ফাইনালে খেলার সুযোগই হয়নি বেলজিয়ান উইঙ্গারের।
তবে হ্যাজার্ডের সেই স্বপ্ন পূরণ হতে পারে আজ। রাতে হেলসিংকিতে উয়েফা সুপার কাপের ফাইনালে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে মাঠে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ। এই ম্যাচের জন্য রিয়ালের স্কোয়াডে হ্যাজার্ডকে রেখেছেন কোচ কার্লো আনচেলত্তি।
চেলসিতে থাকার সময় চোট খুব একটা ভোগায়নি তাঁকে, অথচ রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়ার পর থেকেই সেই চোটের সঙ্গে নিত্য বসবাস তাঁর। লিগ, কাপ, চ্যাম্পিয়নস লিগ, সুপার কাপ মিলিয়ে মৌসুমে ৫০-৬০টি ম্যাচ খেলতে হয় ইউরোপের বড় ক্লাবগুলোকে। চেলসিতে প্রায় প্রতি মৌসুমেই এর বেশির ভাগ ম্যাচে খেলেছেন হ্যাজার্ড। ৭ বছরে খেলা হয়নি মাত্র ২০টি ম্যাচে। অথচ রিয়াল মাদ্রিদে তিনি দিনের পর দিন পড়ে থেকেছেন মাঠের বাইরে। তিন মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মাত্র ৬৬ ম্যাচ খেলেছেন।
২০২০ সালেই রিয়ালের হয়ে প্রথম ফাইনাল খেলতে পারতেন হ্যাজার্ড। তবে চোটের কারণে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে স্প্যানিশ সুপার কোপার ফাইনালের জন্য বিবেচিত হননি। আবার যখন চোটমুক্ত ছিলেন, তখন তাঁকে লড়াই করতে হয়েছে ফর্মে ফেরার জন্য। এর মধ্যে আবার ভিনিসিয়ুস জুনিয়র দারুণ ফর্মে চলে আসায় হ্যাজার্ডের কাজটা আরও কঠিন হয়ে পড়ে।
গত মৌসুমে স্প্যানিশ সুপার কোপা ফাইনাল ও চ্যাম্পিয়নস লিগে ফাইনালে চোটমুক্ত ছিলেন, ছিলেন স্কোয়াডেও। কিন্তু ফর্ম ভালো না থাকায় তাঁকে বদলি হিসেবেও নামানোর দরকার পড়েনি আনচেলত্তির। তা ছাড়া শোনা যাচ্ছিল, রিয়াল কোচের সঙ্গে সম্পর্কও ভালো যাচ্ছে না হ্যাজার্ডের।
এই মৌসুমে হ্যাজার্ডকে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে দিতে পারে, এমন গুঞ্জনও শোনা গেছে। তবে আনচেলত্তি বলেছেন, তাঁর পরিকল্পনায় ভালোভাবেই আছেন হ্যাজার্ড।
আসলেই কতটা আছেন, সেটা বোঝা যেতে পারে আজ, উয়েফা সুপার কাপের ফাইনালে। আর আরও একবার যদি তাঁকে বেঞ্চে বসেই ফাইনাল দেখতে হয়, হ্যাজার্ডও হয়তো রিয়ালে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে ভাববেন।