২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

গার্দিওলার হলান্ড–উচ্ছ্বাস

নটিংহাম ফরেস্টের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের পর খেলা শেষে ম্যাচবল হাতে আর্লিং হলান্ডছবি: এএফপি

আর্লিং হলান্ড গোল—বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে তিনি এটাই প্রমাণ করে এসেছেন। নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকারের গোলের ধারা ম্যানচেস্টার সিটিতেও অব্যাহত থাকবে—এটাই ছিল তাঁর ভক্তদের প্রত্যাশা।

কিন্তু টানা দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক, পাঁচ ম্যাচে নয় গোল—এতটা কি ভাবতে পেরেছিল কেউ!
কেউ ভাবুক আর না ভাবুক, মাত্র পাঁচ ম্যাচ খেলেই ফুটবল বিশ্লেষকদের এখন অনেক কিছু ভাবাতে শুরু করেছেন হলান্ড। গ্যারি লিনেকার যেমন প্রিমিয়ার লিগে অ্যালান শিয়েরারের সর্বোচ্চ গোলের (২৬০) রেকর্ড নিয়ে শঙ্কিত!

আর মাইকেল ওয়েন তো মনে করছেন, গোল নিয়ে যত রেকর্ড, সবই ভেঙে ফেলবেন হল্যান্ড। দুই সাবেক ফুটবলারের কথা এক শব্দে নিয়ে এলে যা হয়, সেটিই বলেছেন ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা—কিংবদন্তি হওয়ার সামর্থ্য আছে হলান্ডের!

হ্যাঁ, ২২ বছর বয়সী হলান্ডকে নিয়ে এমনই ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন ম্যানচেস্টার সিটির কোচ গার্দিওলা। আগের ম্যাচে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে হলান্ডের হ্যাটট্রিকের পর গার্দিওলার মন্তব্য ছিল, ‘বিশেষ কিছু নয়। এমনটা সে আগে থেকেই করে এসেছে।’

আরও পড়ুন

কাল রাতে নটিংহাম ফরেস্টের বিপক্ষে যখন আবারও হ্যাটট্রিক করলেন, সিটি কোচ তখনো নিজের উচ্ছ্বাসে লাগাম ধরে রাখতে চাইলেন, ‘আমরা যখন আর্লিংকে কিনে আনি, সবাই বলেছে সে অতীতে কী করেছে, তাঁর কাছে কীই–বা চাই আমরা। আশা করি, সে এখানকার সময়টা উপভোগ করবে এবং আরও গোল করবে। যেটা সে নরওয়ে, অস্ট্রিয়া এবং জার্মানিতে করে এসেছে। আমরা জানতাম সে প্রতিভাবান।’

মাত্র ৭৮ মিনিটের মধ্যে (দুই ম্যাচ মিলিয়ে) ছয় গোল করা একজন স্ট্রাইকার, যিনি প্রিমিয়ার লিগে প্রথম পাঁচ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৯ গোলের রেকর্ড গড়ে রৌদ্রোজ্জ্বল দিনের আভাস দিচ্ছেন, তার আগামী নিয়ে কতটা আশাবাদী গার্দিওলা?

এ ক্ষেত্রে ম্যানচেস্টার সিটি কোচ টেনে আনলেন সের্হিও আগুয়েরোকে। গত বছর ক্লাব ছেড়ে যাওয়া এই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার ক্লাব ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৬০ (প্রিমিয়ার লিগে ১৮৪) গোলের মালিক। ম্যান সিটিতে তিনি কিংবদন্তির আসনে, ইতিহাদ স্টেডিয়ামে আছে ভাস্কর্যও।

ইতিহাদে নটিংহামের বিপক্ষে ২৬ মিনিটের মধ্যে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন হলান্ড
ছবি: এএফপি

গার্দিওলার মতে হলান্ডেরও একজন কিংবদন্তি হয়ে ওঠার সামর্থ্য আছে, ‘সের্হিও একজন কিংবদন্তি। আধুনিক ফুটবলের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গোলটি করে সিটি সমর্থকদের হৃদয়ে সে যেভাবে জায়গা করে নিয়েছে, সেটা কেউই ভাঙতে পারবে না। আর্লিংয়েরও ওই জায়গাটিতে পৌঁছানোর সামর্থ্য আছে। এটা আসলে সের্হিও বা ওর ব্যাপার নয়। সের্হিও যা করেছে তা দুর্দান্ত, আর আর্লিংয়ের আছে প্রতিভা।’