এবার কাতারের সমালোচনায় বিশ্বকাপের ফুটবলাররাই
২০১০ সালে বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ার দিন থেকেই মানবাধিকার প্রশ্নে সমালোচনার মধ্যে আছে কাতার। দিন যত গড়িয়েছে, বিভিন্ন দেশ, মানবাধিকার ও শ্রমিক সংগঠনগুলো থেকে কাতার নিয়ে প্রশ্ন বেড়েছে। তবে এ তালিকায় বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করা দলগুলো ছিল না। এবার সেই নীরবতা ভেঙেছে অস্ট্রেলিয়া।
বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রথম দল হিসেবে কাতারের মানবাধিকার পরিস্থিতির সমালোচনা করেছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটির পুরুষ ও নারী ফুটবলাররা বিশ্বকাপের অবকাঠামো নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত অভিবাসী শ্রমিক ও এলজিবিটি সম্প্রদায়ের মানবাধিকার সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
কাতারে ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ শুরু হবে ২০ নভেম্বর। ‘ডি’ গ্রুপে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স, তিউনিসিয়া ও ডেনমার্কের সঙ্গে আছে অস্ট্রেলিয়া।
বিশ্বকাপ শুরুর তিন সপ্তাহ আগে কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে একটি ভিডিও এবং একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে ফুটবল অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়া ফুটবল দলের অধিনায়ক ম্যাট রায়ান, ডিফেন্ডার বেইলি রাইটসহ ১৬ জন বর্তমান ও সাবেক ফুটবলার ভিডিওতে অংশ নিয়েছেন।
সেখানে তাঁরা অভিবাসী শ্রমিক ও সমলিঙ্গ–সম্পর্কে বৈষম্যের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এই সমস্যাগুলোর সমাধান করা সহজ নয় এবং আমাদের কাছে সব উত্তর নেই। আমরা ফিফপ্রো, বিল্ডিং অ্যান্ড উড ওয়ার্কার্স ইন্টারন্যাশনাল এবং ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশনের সঙ্গে একমত হয়ে কাতারে এর সংস্কার করতে চাই।’
ফুটবল অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতেও একই ধরনের বক্তব্য প্রকাশ করা হয়। ফুটবলাররা বলেন, কাফালা ব্যবস্থার (শ্রমিকদের ব্যবস্থাপনার নিয়ম) মতো কিছু বিষয়ে সংস্কার আনা হলেও তা যথেষ্ট নয়।
গত বছর যুক্তরাজ্যের গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়, বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে কাতারে সাড়ে ছয় হাজার অভিবাসী শ্রমিক মারা গেছেন। সূত্র হিসেবে কাতারে অবস্থিত যুক্তরাজ্য দূতাবাসের কথা উল্লেখ করেছে গার্ডিয়ান। কাতার অবশ্য মৃতের সংখ্যা সঠিক নয় জানিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে সমকামিতা অবৈধ। তবে বিশ্বকাপ দেখতে এলজিবিটি সম্প্রদায়ের মানুষ কাতারে যেতে পারবে বলে জানিয়েছেন দেশটির আমির।